শাহজালাল ভূঁইয়া সজিব
কুমিল্লায় বরুড়া উপজেলায় স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন আবুল খায়ের নামে এক পাষন্ড
মাদকাসক্ত স্বামী। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় ওই স্বামীসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায় ঐ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী নারীর বাবা থানায় এসে অভিযোগ জানালে শনিবার মধ্যরাতে ৩ জনকে আটক করে বরুড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মাদকাসক্ত স্বামী আবুল খায়েরকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকার বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের শাকপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু (৩০), শাকপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে মনির হোসেন (২২), নরিন্দ্রপুর গ্রামের মো. নুরুল আলমের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩৮) ও ভুক্তভোগীর স্বামী আবুল খায়ের।কুমিল্লা বুলেটিন কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, আবুল খায়েরের সঙ্গে ভুক্তভোগীর ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। খায়ের মাদকাসক্ত ছিলেন। খায়ের ও তার বন্ধু নুরু প্রতিদিন তার ঘরে মাদকসেবন করতেন। মাদকের টাকার জন্য খায়ের প্রায়ই তার স্ত্রীকে খারাপ কাজ করতে বলতেন। কিন্তু তিনি রাজী হতেন না। গত ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে ১নং আসামি নুরু ভুক্তভোগীর বাসায় এসে তার স্বামী খায়েরের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় খায়ের তার স্ত্রীকে নুরুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বলেন। কিন্তু এ প্রস্তাবে রাজী না হলে তার স্বামীর সহায়তায় নুরু জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। একই দিন ভোরে শাকপুর গ্রামে নুরু ওই নারীকে তার ঘরে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে নুরু ফের ধর্ষণ করেন। এ দিন রাতে আবুল খায়েরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মামলার নুরু, ২নং আসামি মনির হোসেন এবং ৩নং আসামি মহিন উদ্দিন মিলে মহিন উদ্দিনের অটোরিকশায় আদ্রা ইউনিয়নের নরিন্দ্রপুরে জমিতে সেচ দেয়ার মেশিন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজনই পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে আসামিরা শাকপুর নতুন বাজারের কালভাটের ওপর তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী কুমিল্লা বুলেটিন কে জানান, ভুক্তভোগী নারীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মধ্যরাতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সকালে স্বামী খায়েরকে আটক করা হয়েছে। নুরুর নামে আগে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।