ইসমাইল নয়ন
এবছর বৈশাখ মাসে তাপদাহে দুর্বিষহ জনজীবন। তাপমাত্রার বেড়েই চলছে। অনেক জেলায় গলতে শুরু করেছে রাস্তার পিচ। অধিক তাপমাত্রা জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, বাড়ছে হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা। তীব্র গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়সের উপর রেকর্ড হয়েছে।প্রকৃতির এমন বৈরী পরিবেশে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান কেউ কেউ।সব থেকে বিপাকে আছে খেটে খাওয়া মানুষ এবং প্রান্তিক কৃষকেরা। মাঠে পাকা বোরো ধান। মাঠ থেকে যে পর্যন্ত সোনালী ধান বাড়িতে পৌঁছানো যাবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত কৃষকের মাথায় চিন্তা। ধান কাটতে হবে। কিন্তু প্রচন্ড গরম। এ গরমে ধান কাটার কাজের লোক পাওয়া যায়না। তাই কৃষক নিজের ধান ছেলে মেয়েদের নিয়ে কাটতে ব্যস্ত।প্রান্তিক কৃষকেরা যেন এই গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাচতে পারে এবিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন গতকাল বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজুরা, দীর্ঘভুমি ব্রাহ্মণপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ফসলী জমির মাঠে কৃষকদের পরামর্শ দেন।কৃষকরা যেহেতু রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকা লাগে তাই সাথে পানি রাখার কথা বলেন। যদি ওরস্যালাইন খান তাহলে আরও ভালো হয়। এক্ষেত্রে একটু পর পর পানি ও ওরস্যালাইন খাওয়া পরামর্শ দেন। প্রস্রাবের রঙ ও পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রস্রাবের রঙ বদলের পাশাপাশি পরিমাণ কমে গেলে পানিসহ তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।এসময় টাইট জামাকাপড় না পরে ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরার পরামর্শ দেন এবং মাঠে ছাতা নিয়ে বের হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।এছাড়া তিনি আরও বলেন, শরীর অবসন্ন লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে, বমি-বমি ভাব লাগে ও বমিও হতে পারে, চোখে আবছা দেখে, মাথা ঘুরতে থাকা, অসংলগ্ন কথা-বার্তাও বলা এমন পরিস্থিতে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ব্যক্তিগত সচেতনতাই সবাইকে সুস্থ রাখতে পারবে।