আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৪১% এবং বরুড়া উপজেলায় ৩৬% ভোট পড়েছে।ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আখতারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৪৩ টি ভোট। অপর প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৩২৪ ভোট। এ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের প্রার্থী ইসমাইল মজুমদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩৯১৯ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকের প্রার্থী মোঃ রুবেল হোসেন পেয়েছেন ১০৭১৬ ভোট। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২০০১৩টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সালমা আক্তার ভোট পেয়েছেন ১৫৭৭৬ টি।অন্যদিকে বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল হামিদ লতিফ কামাল ভূইয়া। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের আবদুল হামিদ লতিফ কামাল ৮৯৬৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এ এন এম মঈনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৪২০৫৪ ভোট।এ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন টিয়া পাখি প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ফরহাদ হোসেন, তিনি ভোট পেয়েছেন ৬০০১১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪৮৮৭০ ভোট এবং পালকি প্রতীকের এডভোকেট আবদুর রহিম ৮২২৮টি। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের প্রার্থী মিনোয়ারা বেগম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৬৫৯৯টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস মর্জিনা ভোট পেয়েছেন ৩৩১৪২টি এবং হাঁস প্রতীকের কামরুন নাহার শিখা ভোট পেয়েছেন ২৭৪৮৬টি।উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোট গ্রহণের শুরুতে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেন। তবে ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুই উপজেলাতেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।