সোহেব আক্তার শান্ত
স্থানীয় সময় রবিবার (২জুন) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করে এবং শেষে প্রতীকী লাশ নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদ জানায় এবং জনসম্মুখে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ স্বরুপ বক্তব্যে দেন। শিক্ষার্থীরা ওয়ান টু থ্রি ফোর অকুপেশন নো মোর, টু স্টেট সল্যুশন মানি না মানবো না, নো ইউএন নো টু স্টেট , ফ্রম দ্যা রিভার টু সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি,ওয়ান উম্মাহ ওয়ান বডি ওয়ান আর্মি ওয়ান ল্যান্ড, রিমুভ ইসরায়েল ফ্রম দ্যা ওয়ার্ল্ড ম্যাপ, রাইজ এগেইন অলিভ ট্রি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি বলে স্লোগান দিতে থাকে।অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। যখন দেখি একজন ফিলিস্তিনি পিতা তার মস্তকহীন সন্তানের লাশ নিয়ে আর্তনাদ করে। আমরা তাদের পক্ষে যুদ্ধ করতে পারবো না কিন্তু দোয়া করতে পারবো। বর্তমানে ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েল অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন করছে, গণহত্যা করছে। কিন্তু অনেক ক্ষমতাবান রাষ্ট্র নিজেদের জায়গা থেকে কিছু করছে না। আমরা চাইবো যাদের ক্ষমতা আছে তারা যেন এগিয়ে আসে। আমরা তাদেরকে ঐভাবে সাহায্য করতে পারবো না। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের বার্তা দিতে পারবো আমরা তাদের পক্ষে রয়েছি। কিছুদিন আগে ১৪৫ টা দেশ স্বীকৃতি দেওয়ার পরও ইহুদিরা ফিলিস্তিনের উপর নির্যাতন করছে, গণহত্যা চালিয়েছে। এখন আমরা বিভিন্ন কলাম লিখে, সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে পারি। এখন আমাদের জায়গা থেকে আমরা তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। বিভিন্নভাবে সমর্থন করছি। সেটা হোক সোস্যাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে।শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, ফিলিস্তিনের উপর এত অত্যাচারের পরেও যখন রাফা নিরাপদ আশ্রয় খুলে দিয়েছিল তখন ইসরায়েলিরা ওখানে বোমা নিক্ষেপ করেছিল এবং বহু মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে । আমারা দেখেছি যখন অটোমান সম্রাজ্য বা ওসমানী খেলাফত ছিল তখন আমরা কিন্তু ইহুদিদের কখনোই কষ্ট দেয় নাই। কাদের প্রশ্রয়ে এই গণহত্যা চালিয়েছে এটা আমরা জানি। আপনারা জাতিসংঘ মানবাধিকারের কথা বলে যে গণতন্ত্রের কথা বলেন, শান্তির কথা বলেন। আজ ইজরাইল গণতন্ত্রের নামে যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা আমাদের সামনে দৃশ্যমান রয়েছে। আমরা ইসরায়েল এর এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।