আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই জমে উঠেছে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো।বর্ষা মৌসুমে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও থেমে নেই দর্শনার্থীরা।পরিবার নিয়ে জেলার প্রায় ডজন খানেক বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। আনন্দে মেতেছেন নানা বয়সী মানুষ।তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণ-তরুণী, শিশু ও পরিবারসহ ঘুরতে আসা মানুষদের।বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে।জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর,নব শালবন বিহার,ম্যাজিক প্যারাডাইস,ব্লু ওয়াটার পার্ক ও ডাইনোসর পার্ক।এসব বিনোদন কেন্দ্র কোটবাড়ি লালমাই পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
এছাড়াও শহরতলীর লালমাই বাজার সংলগ্ন স্থানে রয়েছে লালমাই লেকল্যান্ড।নগরীর ডুলিপাড়ায় রয়েছে ফান টাউন। এসব বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর।তবে দিন ও রাতের বেশিরভাগ সময় নগরীর প্রাণকেন্দ্রের নগর উদ্যান ও ধর্মসাগর পাড়ে জনসমাগম বেশি। লাকসাম উপজেলায় নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়িসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরো বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় থাকবে। ঈদের দিন থেকেই প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরী থেকে আট কিলোমিটার দূরে শালবন বৌদ্ধ বিহার।তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দুই কিলোটার দূরে এর অবস্থান। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়।এজন্য সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। কাছাকাছি স্থানে রয়েছে রেস্টুরেন্ট।তবে আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে উঠলে আরও দর্শনার্থী আসতো।শালবন বিহারের পরে রয়েছে কোটিলা মুড়া ও রূপবান মুড়া।পাশাপাশি ম্যাজিক প্যারাডাইস।এসব বিনোদন কেন্দ্র এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর।ঢাকা থেকে কুমিল্লার ম্যাজিক প্যারাডাইসে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ফাইজা বলেন, ঈদের সময় বাবাকে বলেছি দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে।তাই বাবা এখানে নিয়ে এসেছে।অনেক ভালো লাগছে। এনজয় করছি অনেক।পুরান ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে শালবন বিহারে ঘুরতে আসা আলী হায়দার বলেন, ঢাকার কোলাহল ছেড়ে একটু নিকটস্থ কোথাও যেতে চাইছিলাম। ভাবলাম,কুমিল্লাই বেস্ট হবে।বৌদ্ধ বিহার ঘুরে এখন শালবন বিহারে এলাম।ভালো লাগছে অনেক।এখান থেকে জানার ও শিখার আছে অনেক কিছু।ম্যাজিক প্যারাডাইসের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম বলেন,এখন প্রায় ১৮টি রাইড রয়েছে সবার জন্য। কিডস জোনে রয়েছে ৩২টি রাইড।এছাড়া ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। ডাইনোসর জোনসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় আয়োজন রয়েছে বিনোদন কেন্দ্রে।ঈদে উপলক্ষ্যে ফ্ল্যাশ মুভ ড্যান্সসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী ঘুরতে আসছেন।প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সিলেট ও কুমিল্লা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, অন্যান্য ঈদের মতো এবারও কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। যদিও সেটা রোজার ঈদের তুলনায় কম। তবে, ঈদের পরেরদিন প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী এসেছেন কুমিল্লাতে।এবার বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কিছু কম থাকলেও গত কোরবানির ঈদের চাইতে এবার দর্শনার্থীদের সমাগম বেশি।