আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লায় কারাগার থেকে কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্ণব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফজলে রাব্বীর ছবি তুলে পাঠানো হয় তাঁর স্বজনদের কাছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলার আসামির ছবি তুলে স্বজনদের কাছে সরবরাহের অভিযোগে ইসমাইল হোসেন তুহিন নামে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কুমিল্লা কারাগার থেকে কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্ণব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফজলে রাব্বীর সম্প্রতি তোলা ছবিটি তাঁর ছোট ভাই এ কে আল আমিনের আইডিতে পোস্ট করা হয়। পোস্টে লেখা হয় ‘ভাই সময় আসবে ইনশাল্লাহ’।ছবিটি পরে ডিলিট করা হলেও তা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগীরা। অর্ণবের বাড়ি কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছা এলাকায়।অভিযোগ উঠেছে, কারাগারে থাকা রাব্বীর ছবি ব্যবহার করে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে অর্ণবের পরিবারকেও।এদিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামির ছবি বাইরে সরবরাহ হওয়ায় কারাগারে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এ বিষয়ে কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত ওই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।তিনি জানান, ২ জুলাই ইসমাইল হোসেন তুহিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা প্রক্রিয়াধীন।ইসমাইল হোসেন তুহিনের বাড়ি বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার চাপাতলীতে। তাঁর বাবা সামছুল হক। কুমিল্লা কারাগারে তিনি ২০২২ সালে বদলি হয়ে আসেন। ২০১৮ সালে তাঁর চাকরি হয়। সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, ছবি তোলা হয়েছে ঈদের আগে ১৬ জুন। জেলারের বাস ভবনের ছাদে দায়িত্ব পালনকালে এই ছবি তুলে পাঠানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সে ছবি আসামির ভাই ফেসবুকে প্রচার করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জানান, যে কারারক্ষী ছবি তুলে পাঠিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারের ভেতরে আরও নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এ বিষয়টি সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন।