
ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজার ছাদিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোট গণনা না করেই ফলাফল ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনের দিন রাত ৯টার দিকে মৌখিকভাবে প্রিজাইডিং অফিসার ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে আপত্তি জানিয়ে ভোট গণনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণার আবেদন জানান সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য প্রার্থী রহিমা আক্তার ডালিয়া।বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রার্থী।প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাধাইয়া বাজার ছাদিম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন গত বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে রাত ৯ টায় ভোট গণনা না করে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজালাল।এদিকে একাধিক প্রার্থী ওই ফলাফল মেনে নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে প্রার্থীদেরকে ফলাফলের কোন লিখিত কপি দেয়নি প্রিজাইডিং অফিসার। তারা দাবি করেন- ‘নির্বাচনে সুকৌশলে একটি প্যানেল কে বিজয়ী করা হয়েছে।’এদিকে বুধবার ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব করায় রাত ৮টার পর নির্বাচনী কেন্দ্রসহ বিদ্যালয় ঘেরাও করে স্থানীয় ভোটারসহ উত্তেজিত এলাকাবাসী। এসময় তারা ফলাফল কারচুপির অভিযোগ এনে দফা দফায় মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকে। রাত ৯টায় ফলাফল ঘোষণার পর চান্দিনা থানা পুলিশ এর প্রহরায় প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিদ্যালয় থেকে বের করে নেওয়া হয়।সরেজমিনে জানা যায়, বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪জন অভিভাবক সদস্য পদের বিপরীতে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। মোট ভোটার ছিল ১ হাজার ১ জন। এর মধ্যে ৯শত ৫০ ভোট কাস্ট হয়। নির্বাচন শেষে রাতে মজিবুল হক, হাজী মনির হোসেন, জসিম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল এবং নাসরিন বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ জালাল বলেন, একজন ভোটার মোট ২টি ব্যালটে ৫টি করে ভোট দিয়েছে। এগুলো পৃথকভাবে কাউন্ট করতে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লেগেছে। এরপর আমরা ফলাফল ঘোষণা করেছি।এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মো. সোয়াইব বলেন, আমি এখনো কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। হয়তো ডাক ফাইলে আছে। পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।