ঢাকা , সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বহুমাত্রিক জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা কুমিল্লা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি দেবিদ্বারে বিলের মধ্যে থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগর উপজেলা বিসিএস ক্যাডার অফিসার্স ফোরাম’র কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন ; সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান ও সম্পাদক খন্দকার নূরুল হক চান্দিনায় পরীক্ষা হলে হঠাৎ অসুস্থ ২০ ছাত্রী ; একজন আটক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা হারুনের ভয়াবহ নির্যাতনে ঘরবাড়ি ছাড়া ২টি পরিবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৫ চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লায় ছাত্র – জনতার বিজয় উল্লাসে ঢল

আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার

শেখ হাসিনার পদত্যাগ খবর পেয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড়ে এসে জড়ো হয় হাজার হাজার জনগণ।এসময় সবাই,পালাইলো রে পালাইলো, হাসিনা পালালো,ছি-ছি হাসিনা,লজ্জায় বাঁচিনা’স্লোগান তুলে।এই মিছিলকে ‘বিজয় মিছিল’নাম দিয়েছে আম জনতা।সোমবার(৫ আগস্ট)কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে। সেখানে একে অপরের সাথে করমর্দন ও কোলাকুলি করছে। সবার মুখেই হাসি ও বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছেন তারা।ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।উড়াচ্ছেন জাতীয় পতাকাও। পরে, সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুল রোড হয়ে পুরো কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ঘুরে আবারো নগরীর কান্দিরপাড়ে ফিরে আসে।এই সময় উৎসুক জনতাদের মধ্য থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, এই সরকার ছিল একটা স্বৈরাচারী সরকার।এই সরকারের আমলে মানুষ বাক স্বাধীনতা হারিয়েছে।এক প্রকার আমরা গত ১৫ বছর ধরে পরাধীন ছিলাম। আজ আমাদের বিজয়ের দিন।স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছে।তাই আমরা বিজয় মিছিল করতে এসেছি।শাহজালাল ভূঁইয়া সজীব নামে একজন বলেন, আমরা ৭১ এর স্বাধীনতার স্বাদ পাই নাই, তবে ২৪ এর স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি।এই দিনের কথা আজীবন মনে থাকবে।বিজয়োল্লাস করতে এসেছি।এদিকে, দুপুরের পর থেকেই পুরো কুমিল্লা নগরী জুড়েই যেন জনসমুদ্র দেখা গিয়েছিল।কোথাও ছিল না কোনো তিল ধারণের ঠাঁই।তবে এদিন বিজয় উৎসবের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।কুমিল্লার স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুসিক মেয়র ডা. তাহসিন বাহারের বাসস্থানসহ, কুমিল্লায় পুলিশের বিভিন্ন টোলবক্স,কোতওয়ালী থানা,মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়,কুমিল্লা ক্লাবসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বহুমাত্রিক জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা

কুমিল্লায় ছাত্র – জনতার বিজয় উল্লাসে ঢল

আপডেট সময় ০৭:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার

শেখ হাসিনার পদত্যাগ খবর পেয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড়ে এসে জড়ো হয় হাজার হাজার জনগণ।এসময় সবাই,পালাইলো রে পালাইলো, হাসিনা পালালো,ছি-ছি হাসিনা,লজ্জায় বাঁচিনা’স্লোগান তুলে।এই মিছিলকে ‘বিজয় মিছিল’নাম দিয়েছে আম জনতা।সোমবার(৫ আগস্ট)কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে। সেখানে একে অপরের সাথে করমর্দন ও কোলাকুলি করছে। সবার মুখেই হাসি ও বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছেন তারা।ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।উড়াচ্ছেন জাতীয় পতাকাও। পরে, সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুল রোড হয়ে পুরো কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ঘুরে আবারো নগরীর কান্দিরপাড়ে ফিরে আসে।এই সময় উৎসুক জনতাদের মধ্য থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, এই সরকার ছিল একটা স্বৈরাচারী সরকার।এই সরকারের আমলে মানুষ বাক স্বাধীনতা হারিয়েছে।এক প্রকার আমরা গত ১৫ বছর ধরে পরাধীন ছিলাম। আজ আমাদের বিজয়ের দিন।স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছে।তাই আমরা বিজয় মিছিল করতে এসেছি।শাহজালাল ভূঁইয়া সজীব নামে একজন বলেন, আমরা ৭১ এর স্বাধীনতার স্বাদ পাই নাই, তবে ২৪ এর স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি।এই দিনের কথা আজীবন মনে থাকবে।বিজয়োল্লাস করতে এসেছি।এদিকে, দুপুরের পর থেকেই পুরো কুমিল্লা নগরী জুড়েই যেন জনসমুদ্র দেখা গিয়েছিল।কোথাও ছিল না কোনো তিল ধারণের ঠাঁই।তবে এদিন বিজয় উৎসবের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।কুমিল্লার স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুসিক মেয়র ডা. তাহসিন বাহারের বাসস্থানসহ, কুমিল্লায় পুলিশের বিভিন্ন টোলবক্স,কোতওয়ালী থানা,মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়,কুমিল্লা ক্লাবসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।