আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার
শেখ হাসিনার পদত্যাগ খবর পেয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড়ে এসে জড়ো হয় হাজার হাজার জনগণ।এসময় সবাই,পালাইলো রে পালাইলো, হাসিনা পালালো,ছি-ছি হাসিনা,লজ্জায় বাঁচিনা’স্লোগান তুলে।এই মিছিলকে ‘বিজয় মিছিল’নাম দিয়েছে আম জনতা।সোমবার(৫ আগস্ট)কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে। সেখানে একে অপরের সাথে করমর্দন ও কোলাকুলি করছে। সবার মুখেই হাসি ও বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছেন তারা।ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।উড়াচ্ছেন জাতীয় পতাকাও। পরে, সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুল রোড হয়ে পুরো কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ঘুরে আবারো নগরীর কান্দিরপাড়ে ফিরে আসে।এই সময় উৎসুক জনতাদের মধ্য থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, এই সরকার ছিল একটা স্বৈরাচারী সরকার।এই সরকারের আমলে মানুষ বাক স্বাধীনতা হারিয়েছে।এক প্রকার আমরা গত ১৫ বছর ধরে পরাধীন ছিলাম। আজ আমাদের বিজয়ের দিন।স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছে।তাই আমরা বিজয় মিছিল করতে এসেছি।শাহজালাল ভূঁইয়া সজীব নামে একজন বলেন, আমরা ৭১ এর স্বাধীনতার স্বাদ পাই নাই, তবে ২৪ এর স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি।এই দিনের কথা আজীবন মনে থাকবে।বিজয়োল্লাস করতে এসেছি।এদিকে, দুপুরের পর থেকেই পুরো কুমিল্লা নগরী জুড়েই যেন জনসমুদ্র দেখা গিয়েছিল।কোথাও ছিল না কোনো তিল ধারণের ঠাঁই।তবে এদিন বিজয় উৎসবের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।কুমিল্লার স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুসিক মেয়র ডা. তাহসিন বাহারের বাসস্থানসহ, কুমিল্লায় পুলিশের বিভিন্ন টোলবক্স,কোতওয়ালী থানা,মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়,কুমিল্লা ক্লাবসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।