ঢাকা , সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বহুমাত্রিক জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা কুমিল্লা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি দেবিদ্বারে বিলের মধ্যে থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগর উপজেলা বিসিএস ক্যাডার অফিসার্স ফোরাম’র কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন ; সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান ও সম্পাদক খন্দকার নূরুল হক চান্দিনায় পরীক্ষা হলে হঠাৎ অসুস্থ ২০ ছাত্রী ; একজন আটক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা হারুনের ভয়াবহ নির্যাতনে ঘরবাড়ি ছাড়া ২টি পরিবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৫ চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লায় সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে অবসান হলো আওয়ামী লীগের পরিবারতন্ত্রের

নেকবর হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার কুমিল্লার ১০ উপজেলায় অবসান হয়েছে পরিবারতন্ত্রের। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা, সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অপসারণের পর ঘটে এই অবসান।সরকারের ক্ষমতা পরিবর্তণের সঙ্গে বদলে গেছে মসনদের রাজত্ব্য। বিচ্যুতি ঘটেছে পারিবারিক নেতৃত্বের।কুমিল্লা-৬ আসনের টানা চারবারের এমপি ছিলেন আ ক ম বাহাউদ্দিন।এ বছরের গেল ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তারই জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এ আসনের হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তার স্ত্রী রেহানা মজিদ।কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন তার ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর।এবারের কুমিল্লা-৪ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে তার ছোট ভাই মামুনুর রশীদ, নির্বাচিত হন দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে।২০২০ সালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান আবু তাহেরের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে জয়ী হন এম এ জাহের। এর চার বছর পর জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ আসনে হন সংসদ সদস্য। আর ওই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান হন তারই ভাতিজা আবু তয়্যইব অপি।কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল।কুমিল্লা-৯ আসনে টানা চারবারে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মো. তাজুল ইসলাম। ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দুই মেয়াদে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন, তার ভাতিজা মো. আমিরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, তাজুল ইলামের শ্যালক মহব্বত আলী টানা তিনবার লাকসাম উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাতিজা কামরুল হাসান শাহীন। এছাড়া তার ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার তিন মেয়াদে দক্ষিণ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ছিলেন।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে পালিয়ে যাবার পর থেকে পলাতক রয়েছেন এরা সবাই।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বহুমাত্রিক জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা

কুমিল্লায় সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে অবসান হলো আওয়ামী লীগের পরিবারতন্ত্রের

আপডেট সময় ০৪:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

নেকবর হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার কুমিল্লার ১০ উপজেলায় অবসান হয়েছে পরিবারতন্ত্রের। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা, সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অপসারণের পর ঘটে এই অবসান।সরকারের ক্ষমতা পরিবর্তণের সঙ্গে বদলে গেছে মসনদের রাজত্ব্য। বিচ্যুতি ঘটেছে পারিবারিক নেতৃত্বের।কুমিল্লা-৬ আসনের টানা চারবারের এমপি ছিলেন আ ক ম বাহাউদ্দিন।এ বছরের গেল ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তারই জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এ আসনের হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তার স্ত্রী রেহানা মজিদ।কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন তার ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর।এবারের কুমিল্লা-৪ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে তার ছোট ভাই মামুনুর রশীদ, নির্বাচিত হন দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে।২০২০ সালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান আবু তাহেরের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে জয়ী হন এম এ জাহের। এর চার বছর পর জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ আসনে হন সংসদ সদস্য। আর ওই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান হন তারই ভাতিজা আবু তয়্যইব অপি।কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল।কুমিল্লা-৯ আসনে টানা চারবারে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মো. তাজুল ইসলাম। ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দুই মেয়াদে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন, তার ভাতিজা মো. আমিরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, তাজুল ইলামের শ্যালক মহব্বত আলী টানা তিনবার লাকসাম উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাতিজা কামরুল হাসান শাহীন। এছাড়া তার ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার তিন মেয়াদে দক্ষিণ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ছিলেন।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে পালিয়ে যাবার পর থেকে পলাতক রয়েছেন এরা সবাই।