ইয়াছিন আরাফাত,নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে বৈঠক করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ সহ ৮৩টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এসময় এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম এবং দলটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার ওই বৈঠকের বিষয়ে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মুঠো ফোনে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার চাহিদার ভিত্তিতে বর্তমান সরকার গঠন হয়েছে। আমরা তাদেরকে অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছি।বিশেষ করে রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ আইন,শাসন ও বিচার বিভাগে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে।সাংবিধানিক সংস্থা যেমন নির্বাচন কমিশন,দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারি দপ্তর সমূহে যারা ফেসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়ে বিভিন্নভাবে অনিয়ম দুর্নীতি করেছে বা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’তিনি আরও জানান ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে হত্যা করেছে।তাই নির্বাচন ব্যবস্থাটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।সম্প্রতি চট্টগ্রামে এস.আলম গ্রুপের গাড়ি লুটপাট,টিভি চ্যানেল,ব্যাংক, বীমা দখল,শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো সহ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থানে মানুষের সম্পত্তি লুটপাট এবং ব্যাপক চাঁদাবাজির বিষয়টি আমরা প্রধান উপদেষ্টার নজরে এনেছি। তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।তিনি বলেন- স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন।হাসিনা সরকারও সর্বত্র দলীয়করণের মাধ্যমে একই পথে হাটছিলেন।সর্বশেষ ফেসিস্ট সরকার গুলি করে সহস্রাধিক ছাত্র হত্যা,সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে পঙ্গু করে দিয়ে আওয়ামী লীগ যে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পুনরায় প্রমাণ করেছেন।তাই আমরা এলডিপি’র পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ এর রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও দিয়েছি।