ঢাকা , শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কুমিল্লা নগরীর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদকমুক্ত সমাজ: স্লোগানে নয়, বাস্তবতায় প্রয়োজন পরিবর্তন — মো. রাসেল আহমেদ (রাফি) শিশুকে ডোবায় ফেলে শিক্ষক বললেন, ‘আমার কাছে মানুষের চেয়ে বালির মূল্য বেশি’ না ফেরার দেশে চলে গেলেন শতবর্ষী বৃদ্ধা যদুলাল বাইন চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কোমাড়ডোগা গ্রাম কমিটি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার চান্দিনায় সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল হোমনায় ফসলি জমির মাটি কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের প্রতিবাদ কুমিল্লার লাকসামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লা হোমনার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল হত্যার রহস্য উদঘাটন,আসামি গ্রেফতার

 

এন.সি জুয়েল, স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে ঘটে যাওয়া স্ত্রী, ছেলে ও ভাতিজিসহ ট্রিপল হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে শাহপরান (৩৫) এর স্ত্রী মায়মুনা (৩০) এবং তাদের শিশু সন্তান সাইমন (৯), তার ভাতিজি তৃষামনি (১৫) কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের নিজ বাড়িতে।এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত মাহমুদার পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে,কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে।পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোমনা থানার চরেরগাঁও এলাকা থেকে আসামি মোঃ আক্তার হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসফিকুজ্জামান আকতার।তিনি জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,নিহত মাহমুদা আক্তার ও আসামি আক্তার হোসেন সুমনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।উক্ত সম্পর্কের ভিত্তিতে নিহত মাহমুদা আক্তার মাঝে মাঝে আসামির কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন।ঘটনার কিছুদিন আগে মাহমুদা আসামির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চায়।আসামি পূর্বের ধারের ৩৫ হাজার টাকা না পেয়ে নতুন করে ধারের টাকা না দেওয়ায় মাহমুদা আসামির মা-বাবাকে নিয়ে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে।এতে আসামির মনে প্রচণ্ড রাগ ও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে আসামি ধারের টাকা নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে আসতে বললে আসামি আক্তার হোসেন সুমন ঐ দিন রাত ৯টায় মাহমুদার ঘরে যায়।আসামি আক্তার,মাহমুদা, মাহমুদার ছেলে সাহাদ এবং মাহমুদার ফুফাতো ভাশুরের মেয়ে তৃষা সকালে গিয়ে পেঁয়াজু, সিঙ্গারা ও আখ খেয়ে রাতে সাহাদ ও তৃষা ঘুমিয়ে যায়।এসময়ে আসামি মাহমুদার কাছে পুনরায় ধারের টাকা ফেরত চাইলে সে আবার আসামির মা-বাবাকে নিয়ে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। মাহমুদা আসামি আক্তারকে সকালে টাকা দিবে বলে রাতে তার বাড়িতেই থাকতে বলে।মাহমুদা ঘুমিয়ে পড়লে আসামি তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।পরে রাত্রে মাহমুদাকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। পরবর্তীতে কোনো প্রমাণ না রাখার উদ্দেশ্যে সাহাদ ও তৃষাকেও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। আসামি তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিচে থাকা কাঠের ফাইল দিয়ে ৩ জনের মাথায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা নগরীর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা হোমনার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল হত্যার রহস্য উদঘাটন,আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০১:৩৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

এন.সি জুয়েল, স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে ঘটে যাওয়া স্ত্রী, ছেলে ও ভাতিজিসহ ট্রিপল হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে শাহপরান (৩৫) এর স্ত্রী মায়মুনা (৩০) এবং তাদের শিশু সন্তান সাইমন (৯), তার ভাতিজি তৃষামনি (১৫) কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের নিজ বাড়িতে।এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত মাহমুদার পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে,কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে।পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোমনা থানার চরেরগাঁও এলাকা থেকে আসামি মোঃ আক্তার হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসফিকুজ্জামান আকতার।তিনি জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,নিহত মাহমুদা আক্তার ও আসামি আক্তার হোসেন সুমনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।উক্ত সম্পর্কের ভিত্তিতে নিহত মাহমুদা আক্তার মাঝে মাঝে আসামির কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন।ঘটনার কিছুদিন আগে মাহমুদা আসামির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চায়।আসামি পূর্বের ধারের ৩৫ হাজার টাকা না পেয়ে নতুন করে ধারের টাকা না দেওয়ায় মাহমুদা আসামির মা-বাবাকে নিয়ে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে।এতে আসামির মনে প্রচণ্ড রাগ ও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে আসামি ধারের টাকা নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে আসতে বললে আসামি আক্তার হোসেন সুমন ঐ দিন রাত ৯টায় মাহমুদার ঘরে যায়।আসামি আক্তার,মাহমুদা, মাহমুদার ছেলে সাহাদ এবং মাহমুদার ফুফাতো ভাশুরের মেয়ে তৃষা সকালে গিয়ে পেঁয়াজু, সিঙ্গারা ও আখ খেয়ে রাতে সাহাদ ও তৃষা ঘুমিয়ে যায়।এসময়ে আসামি মাহমুদার কাছে পুনরায় ধারের টাকা ফেরত চাইলে সে আবার আসামির মা-বাবাকে নিয়ে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। মাহমুদা আসামি আক্তারকে সকালে টাকা দিবে বলে রাতে তার বাড়িতেই থাকতে বলে।মাহমুদা ঘুমিয়ে পড়লে আসামি তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।পরে রাত্রে মাহমুদাকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। পরবর্তীতে কোনো প্রমাণ না রাখার উদ্দেশ্যে সাহাদ ও তৃষাকেও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। আসামি তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিচে থাকা কাঠের ফাইল দিয়ে ৩ জনের মাথায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।