আফসানা আক্তার, বিশেষ প্রতিনিধি
গত ০৭ সেপ্হটেম্বর ২০২৪ইং বৃস্পতিবার অফিসকক্ষে ধূমপান ও ছাত্রীদের অস্ত্র দেখিয়ে উত্তপ্ত করা, ঘুষ বানিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগের দায়ে বরুড়া উপজেলার বড়হাতুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন শুরু করলে তা ধীরে ধীরে আন্দোলনে রূপ নেয় । সে সময় প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের কথা জানিয়ে তার পদত্যাগ এবং শাস্তির দাবী জানান তারা। অভিযোগে শিক্ষার্থীরা তার ঘুষ বাণিজ্যের চিত্র তুলে ধরেন এবং তারা জানান এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণেও অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা দাবি করেন, তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ও করেছেন বিভিন্ন সময়। এছাড়াও বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থেকে হাজিরা খাতায় গায়েবী স্বাক্ষরের কথাও জানান শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কিছু ছাত্রী ইংরেজি শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হারানির অভিযোগও করেন। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কার্যক্রম চলাকালীন তা প্রতিহত করতে প্রধান শিক্ষকের লালিত বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহেদ আলম। বহিরাগতদের একটি খসড়া উল্লেখ করে জানান বিদ্যালয়ের সাবেক কমিটির সদস্য স্থানীয় সেলিম মেম্বার, লুৎফর রহমান, মিজান মোল্লা, মোজাম্মেল হক সহ তাদের একটি দল হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করা বহিরাগতদের তালিকা সহ তাদের সকল দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের একটি তদন্ত কমিটির নিমিত্তে সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন । পড়ালেখার মান এবং পাঠদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রত্যেককে শ্রেণীকক্ষে অবস্থান করতে অনুরোধ করেন তিনি। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইংরেজি শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও প্রধান শিক্ষক নিজেই তার ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর বিশ্বাস উপজেলা প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিলে খুব দ্রুত বিদ্যালয়ে আবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে।