ঢাকা , রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দাউদকান্দিতে বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক সমাবেশ চৌদ্দগ্রামের “মিয়া বাজার কাঁকড়ী ক্লাব” এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর অভিযান চান্দিনায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা নগরীর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদকমুক্ত সমাজ: স্লোগানে নয়, বাস্তবতায় প্রয়োজন পরিবর্তন — মো. রাসেল আহমেদ (রাফি) শিশুকে ডোবায় ফেলে শিক্ষক বললেন, ‘আমার কাছে মানুষের চেয়ে বালির মূল্য বেশি’ না ফেরার দেশে চলে গেলেন শতবর্ষী বৃদ্ধা যদুলাল বাইন চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কোমাড়ডোগা গ্রাম কমিটি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

চান্দিনা আল-আমিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগ

 

ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার

সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কুমিল্লার চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইনকে জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।নেপথ্যে থাকা মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষককের কূট কৌশলে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসার কিছু সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত লোকজন তাকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয় বলে দাবী করেন অধ্যক্ষ জাকির হোসেইন।তারা ওই পদত্যাগপত্রটি লিখে এনে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নেন এবং ওই পদত্যাগপত্রটি মাদ্রাসার অফিস যোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে না পাঠিয়ে বহিরাগতরা নিজেরাই ওই পদত্যাগপত্র শিক্ষা অফিসে জমা দেন।জানা যায়, ওই মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষকের কারসাজিতে মাদ্রাসার বর্তমান ও সাবেক কিছু ছাত্র সহ বহিরাগতরা রবিবার সকাল থেকে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল দেয়। এক পর্যায়ে ওই অধ্যক্ষকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়।এদিকে, বল প্রয়োগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না মর্মে গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্দেশনা জারি করার পরও চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ওই পদত্যাগপত্রে ডজনখানে ভুলে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করছে নেটিজেনরা।ওই মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র ও চান্দিনা জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মো. ইলিয়াছ জানান, অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাবেক অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করে জোর পূর্বক ওই পদ দখল করেন। তিনি ঠিকমতো রিডিংও পড়তে পারেন না। মাদ্রাসার বর্তমান ছাত্ররা অনেকেই অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন এর পদত্যাগ করানোর জন্য আমার কাছে আসে তাদের সাথে আমিও একাত্মতা করি।গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে অধ্যক্ষকে জোর পূর্বক লাঞ্ছিত করার বিষয়টি বর্তমানে আপনি একজন শিক্ষক হিসেবে কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি মানতে পারিনা। তবে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন এর দুর্নীতি ও অনিয়ম আমি নিজেও মানতে পারিনি।এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন জানান, তাদের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মূলত আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একটি চক্র পদত্যাগে বাধ্য করান। রবিবার সকাল ৮টায় আমি মাদ্রাসায় যাই। সকাল ১০টার পর থেকে বহিরাগত অন্তত অর্ধশত লোক মাদ্রাসায় আসে এবং এক এক করে আমার কক্ষে প্রবেশ করে নানা অশালীন আচরণ করে হুমকি ধমকি দিতে শুরু করে। আমি তাদের লিখিত পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে চাপের মুখে তাদের লিখিত পদত্যাগ পত্রটিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই। পরবর্তীতে আমি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানাই। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজালাল জানান, অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্রটি বহিরাগত কয়েকজন লোক এসে আমার কার্যালয়ে পৌঁছায়। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দিতে বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক সমাবেশ

চান্দিনা আল-আমিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগ

আপডেট সময় ০২:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার

সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কুমিল্লার চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইনকে জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।নেপথ্যে থাকা মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষককের কূট কৌশলে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসার কিছু সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত লোকজন তাকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয় বলে দাবী করেন অধ্যক্ষ জাকির হোসেইন।তারা ওই পদত্যাগপত্রটি লিখে এনে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নেন এবং ওই পদত্যাগপত্রটি মাদ্রাসার অফিস যোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে না পাঠিয়ে বহিরাগতরা নিজেরাই ওই পদত্যাগপত্র শিক্ষা অফিসে জমা দেন।জানা যায়, ওই মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষকের কারসাজিতে মাদ্রাসার বর্তমান ও সাবেক কিছু ছাত্র সহ বহিরাগতরা রবিবার সকাল থেকে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল দেয়। এক পর্যায়ে ওই অধ্যক্ষকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়।এদিকে, বল প্রয়োগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না মর্মে গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্দেশনা জারি করার পরও চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ওই পদত্যাগপত্রে ডজনখানে ভুলে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করছে নেটিজেনরা।ওই মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র ও চান্দিনা জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মো. ইলিয়াছ জানান, অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাবেক অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করে জোর পূর্বক ওই পদ দখল করেন। তিনি ঠিকমতো রিডিংও পড়তে পারেন না। মাদ্রাসার বর্তমান ছাত্ররা অনেকেই অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন এর পদত্যাগ করানোর জন্য আমার কাছে আসে তাদের সাথে আমিও একাত্মতা করি।গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে অধ্যক্ষকে জোর পূর্বক লাঞ্ছিত করার বিষয়টি বর্তমানে আপনি একজন শিক্ষক হিসেবে কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি মানতে পারিনা। তবে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন এর দুর্নীতি ও অনিয়ম আমি নিজেও মানতে পারিনি।এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন জানান, তাদের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মূলত আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একটি চক্র পদত্যাগে বাধ্য করান। রবিবার সকাল ৮টায় আমি মাদ্রাসায় যাই। সকাল ১০টার পর থেকে বহিরাগত অন্তত অর্ধশত লোক মাদ্রাসায় আসে এবং এক এক করে আমার কক্ষে প্রবেশ করে নানা অশালীন আচরণ করে হুমকি ধমকি দিতে শুরু করে। আমি তাদের লিখিত পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে চাপের মুখে তাদের লিখিত পদত্যাগ পত্রটিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই। পরবর্তীতে আমি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানাই। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজালাল জানান, অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্রটি বহিরাগত কয়েকজন লোক এসে আমার কার্যালয়ে পৌঁছায়। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।