মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ক্লাশে ফিরছে, আমরা তা দেখতে এসেছি।সরজমিনে এসে দেখলাম তোমরা বন্যার ভয়াবহতা স্থানীয়দের সহযোগীতায় কাটিয়ে উঠেছো।বন্যা পরবর্তীতে আমরা গত দুই সপ্তাহে ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি খুব দ্রুত সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করতে পারি।ইতিমধ্যে বন্যার পানি কমে গেছে। সারাদেশে বন্যার পানিতে ২৭৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে জুম মিটিং করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিদ্যালয় অবকাঠামো,বই, চেয়ার, টেবিল নষ্ট হয়েছে।এসময় তিনি আরও বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর মিলে সমন্বয় করে খুব কম সময়ের ভিতরে কাজগুলো শেষ করতে পারি সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা যেন আমরা দ্রুত গুছিয়ে নিতে পারি সেই দিকেই নজর দিচ্ছি।আমাদের বরাদ্দ বা সম্পদের অভাব নেই।তাই স্থানীয়ভাবে সমন্বয় করে কাজ শেষ করতে পারব বলে আশাবাদী।আমাদের বিশ্বাস আমরা আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাব এবং যে ক্ষতি হয়েছে তা আমরা পুষিয়ে নিতে পারব সকলের সহযোগিতায়।তিনি রবিবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল পরিদর্শনে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ কালে বক্তব্য কথা বলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন, বিভাগীয় উপ-পরিচালক (প্রাথমিক) শিক্ষা ড. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাহিদা আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা,চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সকিনা আক্তার।