মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, সকল ধর্মের ঐক্য ছাড়া জাতি এগোতে পারবে না। জগদ্দল পাথর এক স্বৈরশাসক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে যেমন টিকতে পারেনি, তেমনি আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্রও টিকতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। ছাত্র-জনতা সহ সর্বস্তরের নাগরিকরা যার যার অবস্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করলে আমাদের এ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর ভবিষ্যতে আর কেউ আঘাত করতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামীকে হিন্দুবিদ্বেষী দল হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয়। অথচ দেশে হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্থানীয় একটি মিলনায়তনে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এইসব কথা বলেন।চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো: মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মু. বেলাল হোসাইন এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান এডভোকেট, উপজেলার জামায়াতের সাবেক আমীর ভিপি মো: সাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা ইব্রাহীম, জামায়াত নেতা ভিপি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।মতবিনিময় সভায় ডা. তাহের আরো বলেন, চৌদ্দগ্রামে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কোনো ঠাঁই নাই। আপনারা কাউকে চাঁদা দিবেন না। আপনাদের জায়গা কেউ দখল করলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। ‘জামায়াতকে যেমন হিন্দুবিরোধী হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তেমনি হিন্দুদের কপালেও আওয়ামী লীগের একটি ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাই হিন্দুদেরও যেমন জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে, তেমনিভাবে জামায়াতকেও হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ এই ‘তকমা’ দূরীকরণে কাজ করতে হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষায় জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা দু’টি দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। প্রথমত: রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত: স্বাধীন কমিশন করে হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা-নির্যাতনের বিচার করতে হবে।’ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও যদি আপনাদের জামায়াতকে প্রয়োজন বলে মনে হয়, তবে যেকোনও সময়েই আমাদেরকে ফোন করবেন। আমরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। মতবিনিময় সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ আসন্ন দূর্গাপূজায় বিশেষ সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন চৌদ্দগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে। পরে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সম্মানে প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়।মতবিনিময় সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু প্রমোদ রঞ্জণ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র দেবনাথ, হিন্দু নেতা রূপম সেনগুপ্ত, হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কনক চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদ উত্তম সরকার, সদস্য নান্টু চন্দ্র দেবনাথ, বৌদ্ধ সভাপতি শৈবাল শিংহ প্রমুখ।