ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কুমিল্লায় শশুরকে মৃত দেখিয়ে জমি খারিজ করার অভিযোগ বুড়িচংয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কৃষি পূণর্বাসন কর্মসূচী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২০০ পরিবার পেল ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী চৌদ্দগ্রামে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে কামরুল হুদা’র মতবিনিময় চান্দিনায় ডাকাতের ছুড়িকাঘাতে আহত ৪ ; ৮ ভরি স্বর্ণসহ নগদ টাকা লুট চান্দিনায় অপারেশন থিয়েটার থেকে পালালেন ডাক্তার,প্রসূতির মৃত্যু,৫ লাখ টাকায় রফাদফা বুড়িচংয়ে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন বুড়িচং  ময়নামতি ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী দলের জনসভা অনুষ্ঠিত বরুড়াতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম বুড়িচং প্রেসক্লাব রেজি নং ৪০৮ এর উপদেষ্টা নির্বাচিত
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

চান্দিনায় অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ; কতিপয় শিক্ষকদের উস্কানিতে এমন ঘটনা : অধ্যক্ষ

 

 

ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চান্দিনা আল আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন কে জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় পুর্ণবহালের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় ভূক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশ্রাফীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মাদ্রাসার প্রধান গেইটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে বলেন, মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশ্রাফী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার লোভে তার সহযোগী সহ তার অনুসারীদের উস্কেদিয়ে আমাকে (অধ্যক্ষ পদ থেকে) পদত্যাগ করতে বাধ্য করান। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাগুর গ্রামের নাজমুল হাসান ও হারং গ্রামের মো. সাব্বির সহ অন্তত ৩৫জন বহিরাগত অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করে নানা হুমকি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করান।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়- গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক কয়েকজন ছাত্র ও বহিরাগতরা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বিভিন্ন হুমকি, ধমকি ও হেনস্তা করে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়। আমাদেরও জোরপূর্বক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে বলেন। আবার কাউকে শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন কে পুনরায় বহাল করার জোর দাবি জানায়। মানববন্ধনে মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।তারা আরও জানায়, মানববন্ধন শেষে আমরা মাদ্রাসায় পৌঁছালে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে চান্দিনার জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আমাদের মারধর করেন এবং বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেন।স্কুল খোলা থাকা সত্বেও আপনার স্কুলের শিক্ষক অন্য মাদ্রাসায় গিয়ে মানববন্ধনের বাঁধা দেয়ার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম জানান, কখন কোন শিক্ষক কোথায় যায় এসব বিষয়টি আমি অবগত নই। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কেউ গিয়ে থাকলে সেটা আমার জানা নেই। অন্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমরা কোন প্রকার আলোচনা করতেও রাজি নই। আমার শিক্ষক দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি যদি আমার কাছে অভিযোগ করেন আমি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিত্বে ব্যবস্থা নিব।জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রের দ্বিতীয় অভিযুক্ত ব্যক্তি নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার দিন আমি সেখানে উপস্থিত থেকে অধ্যক্ষ জাকির হোসেনকে তার বিগত সময়ের যত অপকর্মের কথা স্মরণ করে দিয়েছি মাত্র। ওনাকে (অধ্যক্ষ) জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়নি। ওনার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।মাদ্রাসাটির প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশ্রাফী জানান, আমি কখনও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার কথা চিন্তাও করিনি। সাবেক ছাত্ররা জোর পূর্বক আমার নাম ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তারা আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করারও কেউ না। আমি কমিটির লোকজনদের সাথে কথাও বলেছি, এসব ঝামেলা নিয়ে আমি এ দায়িত্ব পালন করতে মোটেও ইচ্ছুক নই।এব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জানান, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় শশুরকে মৃত দেখিয়ে জমি খারিজ করার অভিযোগ

চান্দিনায় অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ; কতিপয় শিক্ষকদের উস্কানিতে এমন ঘটনা : অধ্যক্ষ

আপডেট সময় ০৬:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চান্দিনা আল আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন কে জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় পুর্ণবহালের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় ভূক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশ্রাফীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মাদ্রাসার প্রধান গেইটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে বলেন, মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশ্রাফী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার লোভে তার সহযোগী সহ তার অনুসারীদের উস্কেদিয়ে আমাকে (অধ্যক্ষ পদ থেকে) পদত্যাগ করতে বাধ্য করান। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাগুর গ্রামের নাজমুল হাসান ও হারং গ্রামের মো. সাব্বির সহ অন্তত ৩৫জন বহিরাগত অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করে নানা হুমকি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করান।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়- গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক কয়েকজন ছাত্র ও বহিরাগতরা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বিভিন্ন হুমকি, ধমকি ও হেনস্তা করে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়। আমাদেরও জোরপূর্বক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে বলেন। আবার কাউকে শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন কে পুনরায় বহাল করার জোর দাবি জানায়। মানববন্ধনে মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।তারা আরও জানায়, মানববন্ধন শেষে আমরা মাদ্রাসায় পৌঁছালে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে চান্দিনার জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আমাদের মারধর করেন এবং বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেন।স্কুল খোলা থাকা সত্বেও আপনার স্কুলের শিক্ষক অন্য মাদ্রাসায় গিয়ে মানববন্ধনের বাঁধা দেয়ার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম জানান, কখন কোন শিক্ষক কোথায় যায় এসব বিষয়টি আমি অবগত নই। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কেউ গিয়ে থাকলে সেটা আমার জানা নেই। অন্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমরা কোন প্রকার আলোচনা করতেও রাজি নই। আমার শিক্ষক দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি যদি আমার কাছে অভিযোগ করেন আমি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিত্বে ব্যবস্থা নিব।জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রের দ্বিতীয় অভিযুক্ত ব্যক্তি নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার দিন আমি সেখানে উপস্থিত থেকে অধ্যক্ষ জাকির হোসেনকে তার বিগত সময়ের যত অপকর্মের কথা স্মরণ করে দিয়েছি মাত্র। ওনাকে (অধ্যক্ষ) জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়নি। ওনার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।মাদ্রাসাটির প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশ্রাফী জানান, আমি কখনও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার কথা চিন্তাও করিনি। সাবেক ছাত্ররা জোর পূর্বক আমার নাম ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তারা আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করারও কেউ না। আমি কমিটির লোকজনদের সাথে কথাও বলেছি, এসব ঝামেলা নিয়ে আমি এ দায়িত্ব পালন করতে মোটেও ইচ্ছুক নই।এব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জানান, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।