মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর মো. সোলেমান। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। কেউ তাঁর খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় বড় ছেলেকে রেখে এসেছেন এতিমখানায়। ঘরে স্ত্রী, ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে তাঁর।সোলেমান জানান, তিনি দিনমজুরি করতেন। কখনও ভ্যানে ফল বিক্রি করতেন, কখনও মাছ বিক্রি করতেন। কাজ না থাকলে পরের বাড়িতে দিনমজুরি করতেন। তাঁর বাবা জন্মের আগেই হারিয়ে যায়। মা থেকেও নেই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার দিন চৌদ্দগ্রামে তুমুল সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় তিনি চৌদ্দগ্রাম থানার সামনে ফল বিক্রি করছিলেন। থানার ছাদের ওপর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। একটি গুলি তাঁর ডান হাতে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে আহত অবস্থায় বাড়িতে যান। কিন্তু দুর্বল থাকায় রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা পাননি। সেখান থেকে সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে শরীর এখনও দুর্বল। বাড়িতে শুয়ে-বসে দিন কাটছে তাঁর। এদিকে পরিবারে নেই কোনো আয়। চিকিৎসা কিংবা পরিবারের জন্য সরকারি কোনো সহযোগিতাও পাননি।সোলেমানের প্রতিবেশী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সোলেমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিছানায়। তিনি এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমরা কিছু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি তবে, এটা সোলেমানের জন্য যথেষ্ট নয়। তার পরিপূর্ণ চিকিৎসা ও সংসারের ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারি সহায়তা খুব দরকার।