![](https://cumillabulletin.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার চান্দিনায় মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদত্যাগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের দুই পক্ষের হামলায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।ওই মামলায় চান্দিনা আল আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মো. আবুল খায়ের সহ ১৯জনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় চান্দিনা মাদ্রাসাটির ছাত্র ও উপজেলার শব্দলপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. আরমান হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর চান্দিনা আল-আমিন কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইনকে জোর পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় মাদ্রাসার বর্তমান এবং সাবেক ছাত্রদের কিছু অংশ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চলে যায় এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন এর পক্ষ নেয়।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বর্তমান শিক্ষার্থীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।ফেরার পথে চান্দিনা মধ্য বাজারে বহিরাগতরা ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।এতে দুই পক্ষের ৪জন আহত হয়।এদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় মানববন্ধন থেকে অপর পক্ষের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে মো. ফরহাদ নামের আলিম দ্বিতীয় বর্ষের একজন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন বাদি।এদিকে মামলাটিতে অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেইন, তার ছেলে মাখবির, মেয়ে রুকাইয়া ও মরিয়ম, মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আবদুল কাদের, সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান, অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাহান, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ আলী, আল আমিন সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামী করা হয়।এব্যাপারে নাওতলা আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ও চান্দিনা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাওলানা আবুল খায়ের বলেন, অধ্যক্ষকে জোর করে পদত্যাগ করানোর খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিলাম। এখন শুনি আমিও আসামী।এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অভিযোগ করে বলেন- আমি ১৫ সেপ্টেম্বর থানায় এবং জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা আমাকে বহালের দাবি করায় বহিরাগতরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।এব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দোষ ব্যক্তিরা কেউ হয়রানি হবেন না।