আর.জে রিমা, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব।দুই ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫ জন শিশুসহ ৭জনকে কামড়ে আহত করেছে বেওয়ারিশ কুকুরের দল।এছাড়াও গত ২৪ঘন্টায় কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছে আরো ১১জন।২৬ ঘন্টায় মোট আক্রান্তের শিকার হয়েছেন ১৮জন।আহতরা সকলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন।আচমকা বেওয়ারিশ এই কুকুরের আক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।আহতরা হলেন কলেজপাড়ার তৌফিক(৭), মুরাদনগরের হামিমা(৬), আদিবা(৭), এনামুল (১৪), সোনারমপুর গ্রামের তৌহিদুল(১৮), হিরাকান্দা গ্রামের আল আমিন(৩০), মোচাগড়া গ্রামের জিসান(৬)। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তরত চিকিৎসক নুর উদ্দিন জানান,শুক্রবার (২০শে সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫ জন শিশুসহ ৭জন কুকুরের কামড়ে আহত রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে।জানা গেছে, কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের অধিকাংশই উপজেলা সদর ইউনিয়নের কলেজপাড়া,হিরাকান্দা,সোনারামপুর ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া এলাকার বাসিন্দা।কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নিতে আসা সকল রোগীকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।চিকিৎসা নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। কলেজপাড়া এলাকার আহত শিশু তৌফিকের মা শারমিন আক্তার বলেন,আমার ছেলেটা মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে পড়ে। সকালে ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই একটি বেওয়ারিশ কুকুর এসে তাকে কামড়াতে শুরু করে।তার গাল, ঘাড় ও গলায় কামড় দিয়ে মাংস খুলে ফেলছে।আমরা খুবই আতঙ্কে আছি।এখন ঘর থেকে বের হতেই ভয় লাগছে।দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করি।কুকুরের কামড়ের শিকার শিশু জিসানের বাবা শামীম বলেন,সকালে আমার ছেলে উঠানে খেলা করছিলো।এসময় হঠাৎ করে একটি কুকুর এসে তার হাতে কামড়াতে থাকে।তার চিৎকারে আমরা দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ইউনিয়ন থেকে যদি আমাদের কাছে এই বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয় তাহলে আমরা বেওয়ারিশ কুকুর ধরে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক বলেন, কুকুরের কামড়ে কেউ আহত হলে আক্রান্ত স্থানে ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ৩০ মিনিট সময় ধরে ভালো করে ঘষে ঘষে পানিতে ধুতে হবে। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে এসে টিকাসহ চিকিৎসা নিতে হবে।প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।