চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
কুমিল্লার চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী জামিল (২৭) এর বিরুদ্ধে জমি দখল ও হামলা-নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার আপন চাচা সৌদী প্রবাসী কাজী কাউছার উদ্দিন মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চান্দিনা উপজেলা সদরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।কাউছার উদ্দিন বলেন- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতামলে কাজী জামিল চান্দিনা কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির পদ লাভ করে এলাকায় অন্যায়, অত্যাচার চালাতে শুরু করে। তার অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি পরিবারের সদস্যরা। তার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে পৈত্রিক ভিটিতে আমাদের বসবাস করাও যেন দায় হয়ে পড়ে।ভেকু দিয়ে জোর পূর্বক মাটি কাটা, আমাদের বাড়িতে আমাদেরই বসবাস করতে না দেয়াই ছিল তার মূল লক্ষ।তিনি আরও জানান, আমি দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ সৌদীতে বসাবস করছি। ২০১৯ সালে আমি আমার মায়ের কাছ থেকে জায়গা কিনি। ওই জমি কেনার পর থেকেই আমার উপর চড়াও হতে শুরু করে জামিল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কয়েক মাস আগেও সে আমার বসত ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার বিচ্ছিন্ন করে, ঘরের আসবাবপত্র, সিসি ক্যামেরা ও পানি পাম্প ভাঙচুর করে। আমার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। সম্প্রতি আমি আমার মায়ের থেকে কেনা জমিতে সীমানা প্রাচীর করতে গেলে জামিল এর গুন্ডা বাহিনীকে সাথে নিয়ে তার মা ও বোন আমার কাজে বাধা দেয় এবং নির্মাণাধীন পিলার ভেঙ্গে ফেলে।এসব ঘটনায় আমি সামাজিক ভাবে বিচারের প্রার্থনা করলে জামিল তার দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বিচারে হাজির হয়নি।সম্প্রতি আমার নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জামিল এর বোন উল্টো আমাকে ফাঁসাতে আহত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।ওই অভিযোগে পুলিশ আমার বাড়িতে আসে কিন্তু আমার অভিযোগের কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।জামিল একজন নেশাগ্রস্থ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।সে ও তার মা-বোন মিলে আমার বৃদ্ধ মা,স্ত্রীকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমার জায়গা জোর পূর্বক দখল করার উদ্দেশ্য বিভিন্ন সময় বাধা প্রদান সহ চাঁদা দাবি করেন।এ ব্যাপারে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী জামিল এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, কাজী কাউছার এর কোন অভিযোগ আমি পাইনি।এর আগে দেওয়ানী ঘটনার জিডি করা ছিল।তবে তার ভাইয়ের মেয়ে কাজী জাকিয়া আহতাবস্থায় হাসপাতালে আছে।ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কাউছার এর যদি কোন অভিযোগ থাকে থানায় আসুক তদন্ত করে দেখবো