নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটছে।এর সঙ্গে শুধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজনই নন, হাসপাতালের লোকজনও জড়িতের অভিযোগ রয়েছে।হাসপাতালের গেইটের গা-ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫-৩০টি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল।এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে দালালচক্রের শতাধিক সক্রিয় সদস্য। ওই চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম।দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার, একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে ফাতেমা আক্তার।ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে। পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন কিøনিকে নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।