ঢাকা , বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ফেল করা শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা আজই ফল চাই

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা শিক্ষার্থীদের গণহারে পাস করাতে বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমকে।রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।এ সময় তারা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক আটকে দেন।এদিকে,শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করতে ঘটনাস্থলে আছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলে অকৃতকার্যরা সকাল থেকে বোর্ডে ঢুকে পড়েন।তারা শিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।পরে বোর্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।এক পর্যায়ে তারা চলে যান বোর্ড চেয়ারম্যানের ভবনে। তারা বোর্ডের মূল ফটকটি তালা দেন।পরে কয়েকজন প্রতিনিধি যান বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে।বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিম শিক্ষার্থীদের দেওয়া লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন।তারা সেই আশ্বাস মেনে ফটকে আসলে নিচে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেননি।তারা আজই এখনই সবার পাসের ফল পেতে চান বলে জানিয়ে দেন।বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফটকেই রয়েছেন।এদিকে,শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে রাখায় বিপাকে পড়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সোনালী ব্যাংক শাখা ও বোর্ডের বিভিন্ন সেবা নিতে আসা গ্রহীতারা।সেবা নিতে আসা এক শিক্ষক বলেন, ‘দাবি জানালে নিয়মের মধ্যে জানাবে।বোর্ড তা দেখবে।কিন্তু এভাবে ফটক আটকে শিক্ষকদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে দাবি আদায় করা অযৌক্তিক।’চাঁদপুরের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন বলেন,‘অনেকে সাতটা সৃজনশীল প্রশ্ন লিখে পেয়েছে ৩ নম্বর।আমি ফেল করার ছাত্র না।তাও ফলাফল ফেল দিয়েছে।এটি বৈষম্য।আমাদের বলা হচ্ছে,আবার ফলের জন্য আবেদন করতে।আমরা কেন ১৫০ টাকা খরচ করবো।আমরা আজই ফল চাই।’এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে।আমরা তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাবো।কিন্তু তারা তা না শুনেই ফটকের সামনে বসে আছে।তারা আজই সবাই ফল চায়।সবাই পাস চায়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব শান্তি কামনায় কুমিল্লায় রাখের ব্রত ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ফেল করা শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা আজই ফল চাই

আপডেট সময় ০১:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা শিক্ষার্থীদের গণহারে পাস করাতে বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমকে।রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।এ সময় তারা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক আটকে দেন।এদিকে,শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করতে ঘটনাস্থলে আছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলে অকৃতকার্যরা সকাল থেকে বোর্ডে ঢুকে পড়েন।তারা শিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।পরে বোর্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।এক পর্যায়ে তারা চলে যান বোর্ড চেয়ারম্যানের ভবনে। তারা বোর্ডের মূল ফটকটি তালা দেন।পরে কয়েকজন প্রতিনিধি যান বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে।বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিম শিক্ষার্থীদের দেওয়া লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন।তারা সেই আশ্বাস মেনে ফটকে আসলে নিচে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেননি।তারা আজই এখনই সবার পাসের ফল পেতে চান বলে জানিয়ে দেন।বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফটকেই রয়েছেন।এদিকে,শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে রাখায় বিপাকে পড়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সোনালী ব্যাংক শাখা ও বোর্ডের বিভিন্ন সেবা নিতে আসা গ্রহীতারা।সেবা নিতে আসা এক শিক্ষক বলেন, ‘দাবি জানালে নিয়মের মধ্যে জানাবে।বোর্ড তা দেখবে।কিন্তু এভাবে ফটক আটকে শিক্ষকদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে দাবি আদায় করা অযৌক্তিক।’চাঁদপুরের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন বলেন,‘অনেকে সাতটা সৃজনশীল প্রশ্ন লিখে পেয়েছে ৩ নম্বর।আমি ফেল করার ছাত্র না।তাও ফলাফল ফেল দিয়েছে।এটি বৈষম্য।আমাদের বলা হচ্ছে,আবার ফলের জন্য আবেদন করতে।আমরা কেন ১৫০ টাকা খরচ করবো।আমরা আজই ফল চাই।’এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে।আমরা তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাবো।কিন্তু তারা তা না শুনেই ফটকের সামনে বসে আছে।তারা আজই সবাই ফল চায়।সবাই পাস চায়।