ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কুমিল্লায় ডেভিল হান্ট অভিযানে আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার কুমিল্লায় দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ৮১তম তিরোধান স্মরণানুষ্ঠান ১৪ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে দেড় কোটি টাকার অবৈধ মোবাইল ফোন ও ডিসপ্লে জব্দ চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অবৈধ ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার  মতলব লামচরী ব্রহ্মানন্দ যোগাশ্রমে গীতা যজ্ঞ ১২ ফেব্রুয়ারী মুরাদনগরে উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় মুড়ি উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিএসটিআই’র জরিমানা কুমিল্লায় অপারেশন ডেভিল হান্ট: গ্রেপ্তার ৩
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ন্যায্যমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজার

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

‘কৃষক-জনতা জিন্দাবাদ, সিন্ডিকেট মুর্দাবাদ‘- এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে কুমিল্লায় ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।তবে এ ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা।বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মো. নাজমুল হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে। সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা অন্তত আরও ১০ দিন এই কার্যক্রম চলমান রাখব।তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্যের ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছেন তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম। বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পারায় অনেকেই ভিড় করছেন এই দোকানে।ক্রেতা সাকিব হোসেন জানান, বাজারে যে দাম, তা আসলে হিসাব করতে গেলে এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর একেক জায়গায় একেক রকমের দাম। মানুষ স্বল্প মূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা। আর শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ন্যায্যমূল্যের দোকানে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে। আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, ছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় ডেভিল হান্ট অভিযানে আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ন্যায্যমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজার

আপডেট সময় ০৩:০৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

‘কৃষক-জনতা জিন্দাবাদ, সিন্ডিকেট মুর্দাবাদ‘- এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে কুমিল্লায় ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।তবে এ ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা।বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মো. নাজমুল হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে। সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা অন্তত আরও ১০ দিন এই কার্যক্রম চলমান রাখব।তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্যের ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছেন তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম। বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পারায় অনেকেই ভিড় করছেন এই দোকানে।ক্রেতা সাকিব হোসেন জানান, বাজারে যে দাম, তা আসলে হিসাব করতে গেলে এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর একেক জায়গায় একেক রকমের দাম। মানুষ স্বল্প মূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা। আর শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ন্যায্যমূল্যের দোকানে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে। আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, ছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।