ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩ নং উওর খোশবাস ইউনিয় পশ্চিম শাখা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১১:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

 

মু. হারিসুর রহমান – স্টাফ রিপোর্টার

২৮ শে অক্টোবর সোমবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃআবুল কালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরুড়া পৌরশাখার নায়েবে আমীর মাওঃ জাকারিয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কুমিল্লা অঞ্চল সেক্রেটারি মু. হারিসুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর চার দলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষ দিন কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন।
কিন্তু আওয়ামীলীগের সভানেএী শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে লগি -বৈঠা নিয়ে ঢাকায় সমবেত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা আগ্নেয়াস্ত্র,লোহার রোড,রামদা,ছোরা, লাঠিসহ নানা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সশস্ত্র হামলা চালায় এবং নেতাকর্মীদের পিটিয়ে এবং গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তারা মৃত লাশের উপর নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করে। গণমাধ্যমের সুবাধে এ পৈশাচিক দৃশ্য বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করে।
দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশের মানুষ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছে। অবশেষে দেশের ছাত্র সমাজ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে।দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ছাত্র – শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক,সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক,রাজনৈতিক দলসমূহ এবং সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেড় সহস্রাধিক লোকের প্রাণ ও হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ ৫ ই আগস্ট স্বৈরশাসনের কবল থেকে দেশ মুক্তি লাভ করে। এবং স্বৈরাচাররা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এবং এই স্বৈরাচারদেরকে বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করার সুযোগ যাতে না দেওয়া হয় দেশবাসীর প্রতি ও সরকারের প্রতি বক্তারা আহ্বান রাখেন। এবং অবিলম্বে ২৮ শে অক্টোবরের খুনিদের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলা পুনরায় সচল করে খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩ নং উওর খোশবাস ইউনিয় পশ্চিম শাখা

আপডেট সময় ১১:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

 

মু. হারিসুর রহমান – স্টাফ রিপোর্টার

২৮ শে অক্টোবর সোমবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃআবুল কালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরুড়া পৌরশাখার নায়েবে আমীর মাওঃ জাকারিয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কুমিল্লা অঞ্চল সেক্রেটারি মু. হারিসুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর চার দলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষ দিন কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন।
কিন্তু আওয়ামীলীগের সভানেএী শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে লগি -বৈঠা নিয়ে ঢাকায় সমবেত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা আগ্নেয়াস্ত্র,লোহার রোড,রামদা,ছোরা, লাঠিসহ নানা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সশস্ত্র হামলা চালায় এবং নেতাকর্মীদের পিটিয়ে এবং গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তারা মৃত লাশের উপর নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করে। গণমাধ্যমের সুবাধে এ পৈশাচিক দৃশ্য বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করে।
দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশের মানুষ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছে। অবশেষে দেশের ছাত্র সমাজ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে।দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ছাত্র – শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক,সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক,রাজনৈতিক দলসমূহ এবং সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেড় সহস্রাধিক লোকের প্রাণ ও হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ ৫ ই আগস্ট স্বৈরশাসনের কবল থেকে দেশ মুক্তি লাভ করে। এবং স্বৈরাচাররা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এবং এই স্বৈরাচারদেরকে বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করার সুযোগ যাতে না দেওয়া হয় দেশবাসীর প্রতি ও সরকারের প্রতি বক্তারা আহ্বান রাখেন। এবং অবিলম্বে ২৮ শে অক্টোবরের খুনিদের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলা পুনরায় সচল করে খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।