
এন.সি জুয়েল, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠানে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে একথা বলেন।মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিরুল কায়ছার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বরুড়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) এবং জেলা বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজা মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: নাজমূল হাসান
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইসমাইল হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক আল মামুন রাসেল, বিসিকের ডিজিএম মুন্তাসির মামুন, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক, চেম্বারের পরিচালক জামাল আহমেদ, ক্যাবের জেলা সেক্রেটারি কাজী মাসউদ আলম, পল্ট্রি ফার্ম এসোসিয়েশনের ফরহাদ হোসেন, এনএসআই এর এডি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুণ্ডু, দোকান মালিক সমিতির সানাউল হক, ছাত্র প্রতিনিধি রকি হাসান ও আদনান আল ফারসি প্রমুখ। বক্তারা বক্তব্য বলেন, জনবান্ধব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে আরও বেশি প্রচার ও প্রসারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন এবং আইনটিকে আরও যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।জেলাপ্রসাশক মো: আমিরুল কায়ছার বলেন, ব্যবসা একটি হালাল পেশা কিন্তু সেখানে মুনাফাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভোক্তাকে চাপে রাখার কৌশল নিলে সেটি আর হালাল থাকে না। নৈতিকতাকে আমাদের অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে আইনের প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না, সেটি অস্ত্র হিসেবে থাকলেই হয়। স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিনি ভোক্তাদেরও সংযমী হওয়ার আহ্বান জানান। নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে।এ কমিটি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এর সুফলও ভোক্তারা পেতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান। তিনি জনবান্ধব এ আইনটির প্রচার ও বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, জেলা বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্যবৃন্দ, কুমিল্লা নগরীর সকল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, কোল্ডস্টোরেজ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বেকারি মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, মিষ্টি ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, ক্যাব জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।