মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশের বিভিন্ন ট্রাক হোটেলে রমরমা মাদক ব্যবসা চলে আসিছিলো, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মহাসড়কের দুইপাশে অবস্থিত ট্রাক হোটেলগুলো বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে চিহিৃত ৭ মাদক কারবারিকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুটলি করা ১ কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার উপ-পরিচালক লে: মাহমুদুল হাসান। অভিযানে আটককৃতরা হলো: কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো: মাসুদ রানা (২৪), নারায়ণপুর গ্রামের সায়েদ মিয়ার ছেলে মো: পারভেজ (২৮), চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল গ্রামের মো: আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল খালেক (১৯), কেছকিমুড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো: নুরুন নবী (২৮), কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাকির হোসেন (২৭), বরুড়া উপজেলার দেওড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে শরীফ হোসেন (৩৯) ও বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার তেরকান্দা গ্রামের মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (১৯)।র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার উপ-পরিচালক লে: মাহমুদুল হাসান জানান, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ট্রাক হোটেলগুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার-হেলপারদের নিকট সু-কৌশলে মাদক বিক্রি করে আসছিলো। এছাড়াও কিছু কিছু হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারগণ হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। যাত্রা বিরতির সময় ট্রাক চালক ও হেলপাররা এখান থেকে মাদক ক্রয় করে সেবন করে। মাদক সেবনের পর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মহাসড়কে গাড়ি চালায় তারা। যারফলে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ মহাসড়কের পাশের ট্রাক হোটেলগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং বৃহস্পতিবার ভোরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, র্যাব-১১ এর সদস্যরা ৭ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করেছে। র্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।