ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির জায়গায় জোরপূর্বক ঘর স্থাপন করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।একই গ্রামের কাউছার গংদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেন প্রবাসী ফজর আলীর পরিবার।সরেজমিনে উপজেলার দোল্লাই নোয়াবপুর ইউনিয়নের ভাগুড়াপাড়া গ্রামে দেখা গেছে নতুন একটি ঘর স্থাপনের চিত্র।এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে চরম ঔদ্ধত্য অবস্থা তৈরি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাগুড়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী ফজর আলীর পরিবারের সঙ্গে একই বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে কাউছার আলম গংদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল।দীর্ঘদিনের এই বিরোধে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার দেন-দরবার অনুষ্ঠিত হয়। এরই একপর্যায়ে গত সোমবার দুই পরিবারের মাঝে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পনায় ফজর আলীর ক্রয়কৃত জায়গায় টয়লেটসহ একটি ঘর স্থাপন করে কাউছার আলম। জোরপূর্বক এই জমি দখলের বাঁধা দিতে গেলে কাউছার ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ফজর আলীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী ফজর আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন,আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেতাদের নিয়ে জোর জবরদস্তি করে জমি দখলের জন্য কাউছার সন্ত্রাসী কায়দায় আমার স্বামীর ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর ও টয়লেট তুলেছে। এই ঘরটি অপসারণের জন্য বারবার বলা হলেও অপসারণ করেনি।এলাকায় অনেকবার শালিশী করলেও কাউছার কোন রায় মানেনি।এখন আমাদের জায়গা উদ্ধার করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।এর সুষ্ঠু বিচার দাবিতে থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।এদিকে জয়নাল আবেদীন, তাজুল ইসলামসহ গ্রামের একাধিক মাতব্বর জানান, ফজর আলীর ক্রয়কৃত ৮ শতাংশ জায়গায় কাউছার আলম জোরপূর্বক ঘর উঠানোর অভিযোগে দুই পরিবারের লোকজন নিয়ে শালিশী বসে। শালিশে ফজর আলীর পরিবার ওই জায়গার সমস্ত কাগজপত্র তুলে ধরে।কাউছার আলম ওই জায়গার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফজর আলীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় জায়গা তার পরিবার কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।তারা আর জানান, কাউছার গং ওই শালিশের রায় মেনে না নিয়ে ঔদ্ধত্য দেখাতে থাকে।এক পর্যায়ে অনেক মাতব্বরের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আজও হয়রানি করে যাচ্ছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউছার আলম ভোরের কাগজ কে জানায়, আমি যেখানে ঘর তুলেছি সেই জমিটির মালিক আমরাই।এতদিন ভোগ করে আসছি।ফজর আলীর পরিবার এখন এসে জমি তাদের দাবি করছে।যাহা মোটেই সত্য নহে।ফজর আলীর পরিবার আমাদের জায়গায় জোরপূর্বক বেড়া দিয়েছে।দোল্লাই নোয়াবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া বলেন, ভাগুড়াপাড়া গ্রামের ফজর আলীর পরিবার ও কাউছার আলমের মধ্যে জমির বিরোধ অনেক দিনের।এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সালিস হয়েছে।মীমাংসা হলেও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে।চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।