
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জমির মাটি কাটা নিয়ে প্রবাসী পরিবারের উপর হামলা ও মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় ইয়াছিন নামে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মিতল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গতকাল সরেজমিন পরিদর্শন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
থানায় প্রবাসী ইব্রাহিমের স্ত্রী জয়নবের নেছার দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার সাথে পাশ্ববর্তী বাড়ির জয়নাল আবেদীনের পরিবারের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।জয়নাল আবেদীন পরিবারের সদস্যরা ইব্রাহিম মিয়ার জায়গা হতে জোরপূর্বক মাটি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায়।এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়নাল আবেদীনের ছেলে শাফায়েত ইসলাম ও তার মা জাহানারা বেগম প্রকাশ ছোটনীর নেতৃত্বে প্রবাসীর নতুন বাড়ির ভাউন্ডারির টিন পিলার ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করে। এ সময় তারা ইব্রাহিম মিয়ার ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তারকে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী ইব্রাহিমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ইয়াছিন গত শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের নিজস্ব জমি থেকে মাটি কেটে নতুন বসত বাড়িতে নিয়ে যায়। পাশ্ববর্তী জয়নাল আবেদীনের ঘরের যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য মাটি কাটার সময় জমির পাশের কিছু জায়গা না কেটে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, শুক্রবার ও রোববার ইয়াছিন তাদের পুকুর থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে। গভীরভাবে খননের কারণে বৃষ্টির সময় তাঁর বসত বাড়ি ভেঙে যাবে মর্মে উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করে। এ ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ইয়াছিনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। দুইদিন পর এয়াছিন আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। কিন্তু জয়নাল আবেদীনের পুকুর থেকে ইয়াছিন কোন মাটি কেটে নেয়নি।মিতল্লা গ্রামের মুরব্বি ছগির আহমেদসহ কয়েকজন জানান, ‘জাহানারা বেগম একজন দূর্দান্ত মহিলা। সে প্রবাসী ইব্রাহিমের পরিবারকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে নানা চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে মাটি কাটার একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইব্রাহিমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ইয়াছিনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করায়’।অভিযোগের বিষয়ে জাহানারা বেগম বলেন, ‘থানায় উভয়পক্ষ শালিশ বৈঠকে বসলে আমার কথা উপস্থাপন করা হবে’।খিরনশাল কাজী জাফর আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান বলেন, ইয়াছিন আমার স্কুলের একজন নিয়মিত ছাত্র ও এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার জেল খাটার বিষয়টি তার পরিবার থেকে অবহিত করা হয়নি। এই মাত্র আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম। সামনে তার এসএসসি পরীক্ষা। একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মামলা দিয়ে জেল খাটানো ঠিক হয়নি।আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই অনন্ত দাস বলেন, ‘জয়নবের নেছার দায়েরকৃত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।