ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কুমিল্লায় বাঁচার জন্য লড়াই করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াছিন  কুবিতে অপ্রীতিকর অবস্থায় স্কুল পড়ুয়া দুই যুগল আটক খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন কুমিল্লার আমিন উর রশিদ ইয়াছিন জামায়াতে ইসলামী যুব ও ক্রীড়া বিভাগ কুমিল্লা মহানগরীর ৬নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ হযরতপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লায় বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৩১
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লায় শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে চার বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হল শ্যামল এ রায় দেন।সাজাপ্রাপ্ত মেহরাজ একই গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে।বাদী পক্ষের আইনজীবী মো শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেট দেওয়ার প্রালোভন দেখিয়ে নাবিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন প্রতিবেশী যুবক মেহেরাজ।তিনি পরে শিশুটির মরদেহ নির্মাণাধীন একটি বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে লুকিয়ে রাখেন।সেদিন নাবিলাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন তার পরিবারের সদস্যরা।পরদিন সকালে নাবিলার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।এই ঘটনায় নাবিলার দাদা আবদুল আজীজ বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় নাম না জানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।পুলিশী তদন্তের পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেপ্তার করে।দীর্ঘ শুনানির পর আজ নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি মেহরাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন।নিহত নাবিলার মা হালিমা আক্তার বলেন, ‍“গত সাত বছর ধরে মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি মেহরাজের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।আমি সন্তুষ্ট।দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় কার্যকর চাই।”কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদিউল আলম সুজন জানান, ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।আসামি মেহরাজ জবানবন্দীতে নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বাঁচার জন্য লড়াই করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র

কুমিল্লায় শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে চার বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হল শ্যামল এ রায় দেন।সাজাপ্রাপ্ত মেহরাজ একই গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে।বাদী পক্ষের আইনজীবী মো শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেট দেওয়ার প্রালোভন দেখিয়ে নাবিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন প্রতিবেশী যুবক মেহেরাজ।তিনি পরে শিশুটির মরদেহ নির্মাণাধীন একটি বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে লুকিয়ে রাখেন।সেদিন নাবিলাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন তার পরিবারের সদস্যরা।পরদিন সকালে নাবিলার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।এই ঘটনায় নাবিলার দাদা আবদুল আজীজ বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় নাম না জানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।পুলিশী তদন্তের পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেপ্তার করে।দীর্ঘ শুনানির পর আজ নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি মেহরাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন।নিহত নাবিলার মা হালিমা আক্তার বলেন, ‍“গত সাত বছর ধরে মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি মেহরাজের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।আমি সন্তুষ্ট।দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় কার্যকর চাই।”কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদিউল আলম সুজন জানান, ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।আসামি মেহরাজ জবানবন্দীতে নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।