
মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর চৌদ্দগ্রাম শাখার কাউন্সিল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম মাদরাসা-ই-হোসাইনিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসেন কাসেমী, কুমিল্লা জেলা সেক্রেটারী মুফতি আমজাদ হোসাইন।হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইয়েদ আব্দুল আউয়াল ও সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম এর যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা সাইয়েদ মো: জাকারিয়া, সহ-সভাপতি মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ, মুফতি জালাল উদ্দিন, মুফতি ইয়াহিয়া, মাওলানা আব্দুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো: শাহ জালাল, প্রচার সম্পাদক মুফতি মাসুদুর রহমান, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা মো: মোস্তফা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নাসিম হেজাজী রিফাত।কাউন্সিলে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনকে সভাপতি ও মুফতি সাইয়েদ আব্দুল আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাওলানা মো: শাহ জালালকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়।সম্মলনে বক্তরা বলেন, বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার এই দেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর ধরা শেষ ধরা বলে তার শেষ রক্ষা হয়নি। জনতার আন্দোলনে সে পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এখনো ইসলাম ও আমাদের প্রিয় দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বিগত দিনে যেমন ইসলাম বিদ্বেষী সকল কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেছে, ঠিক সেভাবে সামনেও করে যাবে ইনশাআল্লাহ। কাউন্সিল থেকে হেফাজত নেতারা চৌদ্দগ্রামসহ সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষার্থীদের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া আহবান জানান। এ সময় তারা ইসলাম বিদ্বেষী সকল কর্মকান্ড, দুনীর্তি ও ঘুষ মুক্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানান।