ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কুমিল্লায় ডেভিল হান্ট অভিযানে আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার কুমিল্লায় দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ৮১তম তিরোধান স্মরণানুষ্ঠান ১৪ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে দেড় কোটি টাকার অবৈধ মোবাইল ফোন ও ডিসপ্লে জব্দ চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অবৈধ ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার  মতলব লামচরী ব্রহ্মানন্দ যোগাশ্রমে গীতা যজ্ঞ ১২ ফেব্রুয়ারী মুরাদনগরে উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় মুড়ি উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিএসটিআই’র জরিমানা কুমিল্লায় অপারেশন ডেভিল হান্ট: গ্রেপ্তার ৩
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লায় ব্যাতিক্রমধর্মী কোচিং এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমিতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের ভীড়

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লায় এখন কোচিং সেন্টার এর শহর।অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে কয়েক’শ কোচিং সেন্টার।এগুলোর মধ্যে পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত ব্যাতিক্রমধর্মী একটি কোচিং সেন্টার এর কথা পাঠকদের উপকারার্থে জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।প্রথমেই বলে নেই, এই কোচিং সেন্টার এর স্লোগান ” ” আমরা মেধাবী খুঁজি না,মেধাবী তৈরি করি ” — এই লেখাটি দেখেই তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মে এবং তাদের আয়োজিত ২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধা স্থান অর্জনকারীদের পুরষ্কার প্রদানের দিন আরও কয়েকজন সাথী সংবাদকর্মী সহ গিয়ে উপস্থিত হই ” এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমি” নামের সেই কোচিং সেন্টারে।পরিচালকের কক্ষে ঢুকেই হতবাক! কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ডাবল স্টার পাওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা তুখোড় ছাত্র আমার বড় ভাই/বন্ধু মুজিব ভাইকে দেখে।বুঝলাম এই কোচিং সেন্টার ভালো না হয়ে পারে না,আর মুজিব ভাইয়ের পক্ষেই মেধাবী তৈরি করি কথাটা বলা মানায়।ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পড়াকে সহজ করে উপস্থাপন করার কাজ উনি ছাত্র জীবন থেকেই করে আসছেন। কুমিল্লায় জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেছা, ইস্পাহানি, ল্যাবরেটরি স্কুলের ভর্তি গাইড ” অংকুর ” তিনিই সর্ব প্রথম প্রকাশ করেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সেই মুজিব ভাইয়ের এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমির কথা আজ সবাইকে জানাব।শুনি তার মুখ থেকেই….কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১৯ সালে রেইসকোর্সে এই কোচিং সেন্টার শুরু করি কয়েকজন অভিভাবকের অনুরোধে। নিজেই পড়াতাম। ৮ জন ৫ ম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী দিয়ে শুরু। এদের জন্যই পরের বছর ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু করি।তাদের রেজাল্ট দেখে আরো কিছু ছাত্র ছাত্রী আসে। ৫ ম, ষষ্ঠ দুই ক্লাসে ১৬ জনের মত হয়ে যায়। ‘ ২১ সালে করোনার জন্য কোচিং বন্ধ করে পুরাতন চৌধুরী পাড়ার বাসায় চলে আসি। আর তখনই মিরাকল ঘটে। বাসায় প্রাইভেট পড়তে চলে আসে আশেপাশের ১০ /১২ জন। তাদের দেখাদেখি আরও ১৫/২০ জন চলে আসায় দুই জন মেডিকেল স্টুডেন্ট রাখি আমার সাথে। এদের সবাই করোনা পরবর্তীতে ভালো রেজাল্ট করায় ছাত্র ছাত্রী বেড়ে যায় এবং আরো কয়েকজন ভালো শিক্ষক জোগাড় করে আবার কোচিং শুরু করি। ১০ জনের বেশি কোন ক্লাসে নেই না। এভাবে আমি আমার সাথে সেরা সব শিক্ষকদের এনে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে হাতে কলমে শিক্ষা দেই। এবং নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অনুশীলনে রাখি।আর এবার আমার ৩০ জনেরও বেশী ছাত্র ছাত্রী নিজ নিজ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আগামীতে আরো ভালো করার ইচ্ছা আছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় ডেভিল হান্ট অভিযানে আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ব্যাতিক্রমধর্মী কোচিং এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমিতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের ভীড়

আপডেট সময় ০১:০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

নেকবর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লায় এখন কোচিং সেন্টার এর শহর।অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে কয়েক’শ কোচিং সেন্টার।এগুলোর মধ্যে পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত ব্যাতিক্রমধর্মী একটি কোচিং সেন্টার এর কথা পাঠকদের উপকারার্থে জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।প্রথমেই বলে নেই, এই কোচিং সেন্টার এর স্লোগান ” ” আমরা মেধাবী খুঁজি না,মেধাবী তৈরি করি ” — এই লেখাটি দেখেই তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মে এবং তাদের আয়োজিত ২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধা স্থান অর্জনকারীদের পুরষ্কার প্রদানের দিন আরও কয়েকজন সাথী সংবাদকর্মী সহ গিয়ে উপস্থিত হই ” এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমি” নামের সেই কোচিং সেন্টারে।পরিচালকের কক্ষে ঢুকেই হতবাক! কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ডাবল স্টার পাওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা তুখোড় ছাত্র আমার বড় ভাই/বন্ধু মুজিব ভাইকে দেখে।বুঝলাম এই কোচিং সেন্টার ভালো না হয়ে পারে না,আর মুজিব ভাইয়ের পক্ষেই মেধাবী তৈরি করি কথাটা বলা মানায়।ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পড়াকে সহজ করে উপস্থাপন করার কাজ উনি ছাত্র জীবন থেকেই করে আসছেন। কুমিল্লায় জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেছা, ইস্পাহানি, ল্যাবরেটরি স্কুলের ভর্তি গাইড ” অংকুর ” তিনিই সর্ব প্রথম প্রকাশ করেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সেই মুজিব ভাইয়ের এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমির কথা আজ সবাইকে জানাব।শুনি তার মুখ থেকেই….কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১৯ সালে রেইসকোর্সে এই কোচিং সেন্টার শুরু করি কয়েকজন অভিভাবকের অনুরোধে। নিজেই পড়াতাম। ৮ জন ৫ ম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী দিয়ে শুরু। এদের জন্যই পরের বছর ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু করি।তাদের রেজাল্ট দেখে আরো কিছু ছাত্র ছাত্রী আসে। ৫ ম, ষষ্ঠ দুই ক্লাসে ১৬ জনের মত হয়ে যায়। ‘ ২১ সালে করোনার জন্য কোচিং বন্ধ করে পুরাতন চৌধুরী পাড়ার বাসায় চলে আসি। আর তখনই মিরাকল ঘটে। বাসায় প্রাইভেট পড়তে চলে আসে আশেপাশের ১০ /১২ জন। তাদের দেখাদেখি আরও ১৫/২০ জন চলে আসায় দুই জন মেডিকেল স্টুডেন্ট রাখি আমার সাথে। এদের সবাই করোনা পরবর্তীতে ভালো রেজাল্ট করায় ছাত্র ছাত্রী বেড়ে যায় এবং আরো কয়েকজন ভালো শিক্ষক জোগাড় করে আবার কোচিং শুরু করি। ১০ জনের বেশি কোন ক্লাসে নেই না। এভাবে আমি আমার সাথে সেরা সব শিক্ষকদের এনে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে হাতে কলমে শিক্ষা দেই। এবং নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অনুশীলনে রাখি।আর এবার আমার ৩০ জনেরও বেশী ছাত্র ছাত্রী নিজ নিজ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আগামীতে আরো ভালো করার ইচ্ছা আছে।