ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কুমিল্লায় বাঁচার জন্য লড়াই করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াছিন  কুবিতে অপ্রীতিকর অবস্থায় স্কুল পড়ুয়া দুই যুগল আটক খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন কুমিল্লার আমিন উর রশিদ ইয়াছিন জামায়াতে ইসলামী যুব ও ক্রীড়া বিভাগ কুমিল্লা মহানগরীর ৬নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ হযরতপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লায় বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৩১
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র-শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

 

মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক

তাবলিগ নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র-শিক্ষদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি।তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।এ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।পালিত হচ্ছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। শিক্ষার্থীদের দাবি কলেজ প্রশাসনের মিথ্যাচার ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য নয়।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী মো. নাহিদুল ইসলাম এ বক্তব্য তুলে ধরেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদে সাপ্তাহিক হাদিসের তালিম চলে আসছে। হঠাৎ করে গত ২০ জানুয়ারি তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিমটি বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। পরদিন সকালে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে যান।পরে এ বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা, যা মোটেও সত্য নয়।এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ শিরোনামে যে সংবাদ প্রচার করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।সেখানে কলেজের সাধারণ ছাত্রদেরকে দুষ্কৃতিকারী বলা হয় এবং আমাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।এ সময় গণিত বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তারেক হোসেন, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোলাইমান, ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র আশিকুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের তৌহিদ বিন সাদিক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র মো. নাঈম খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা কুমিল্লা বুলেটিনকে বলেন, মসজিদে তালিম নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়ের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে দুই পক্ষের তালিম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।বিষয়টি জানার পর একটি পক্ষ এবং বহিরাগত কিছু লোক আমার কক্ষে ঢুকে অবরুদ্ধ করে পেলে।যা দুঃজনক।গত ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার জেরে গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ধর্মপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন মসজিদের মুসল্লি ও ছাত্ররা।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বাঁচার জন্য লড়াই করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র-শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

আপডেট সময় ০৫:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

 

মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক

তাবলিগ নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র-শিক্ষদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি।তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।এ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।পালিত হচ্ছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। শিক্ষার্থীদের দাবি কলেজ প্রশাসনের মিথ্যাচার ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য নয়।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী মো. নাহিদুল ইসলাম এ বক্তব্য তুলে ধরেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদে সাপ্তাহিক হাদিসের তালিম চলে আসছে। হঠাৎ করে গত ২০ জানুয়ারি তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিমটি বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। পরদিন সকালে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে যান।পরে এ বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা, যা মোটেও সত্য নয়।এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ শিরোনামে যে সংবাদ প্রচার করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।সেখানে কলেজের সাধারণ ছাত্রদেরকে দুষ্কৃতিকারী বলা হয় এবং আমাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।এ সময় গণিত বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তারেক হোসেন, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোলাইমান, ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র আশিকুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের তৌহিদ বিন সাদিক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র মো. নাঈম খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা কুমিল্লা বুলেটিনকে বলেন, মসজিদে তালিম নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়ের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে দুই পক্ষের তালিম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।বিষয়টি জানার পর একটি পক্ষ এবং বহিরাগত কিছু লোক আমার কক্ষে ঢুকে অবরুদ্ধ করে পেলে।যা দুঃজনক।গত ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার জেরে গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ধর্মপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন মসজিদের মুসল্লি ও ছাত্ররা।