
মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার তিতাসে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, শ্লীলতাহানি, চুরি ও প্রাননাশের হুমকির অভিযোগে ছাব্বির আহাম্মেদ নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৩ বছরের এক শিক্ষার্থীকে ১৮ বছরের যুবক দেখিয়ে মামলায় অভিযুক্ত করায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার উপজেলা ভিটিকান্দি গ্রামের নবীর হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন প্রকাশ ইতি (২৪) বাদী হয়ে তিতাস থানায় এ মামলা রুজু করেন।ওই মামলায় শিক্ষার্থী ছাব্বির আহাম্মেদ তার বাবা প্রবাসী মো. কবির হোসেন’সহ মা কুহিনুর বেগম ও বড় দুই বোনকে আসামী করা হয় এবং অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো ৩/৪জনকে।ঘটনা সম্পর্কে না জানলেও এজাহারে নাম থাকায় মামলা রুজু’র কয়েক ঘন্টার মধ্যে মামলার ৪নং বিবাদী সোহাগী আক্তারকে স্বামীর বাড়ী দাউদকান্দির বাজরা গ্রাম থেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিটিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নবীর হোসেনের সাথে তার সৎ ভাই কবির মিয়ার জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে কবির হোসেন ও তার স্ত্রী কোহিনূর আক্তার’সহ দুই মেয়ে রিয়া, সোহাগী ও ছেলে ছাব্বিরসহ অজ্ঞাত ৩/৪জন নবীর হোসেনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে নবীর হোসেনের স্ত্রী রোজিনা ও মেয়ে সাথী এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে।আরো উল্লেখ্য করেন, নবীর হোসেনের মেয়ে সাথী আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ছিলো এবং প্রতিপক্ষের মারধরের কারনে পেটে আঘাত লাগে এবং গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে।তবে এ ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন নবীর হোসেনের সৎ ভাই অভিযুক্ত প্রধান আসামী প্রবাসী কবির হোসেন ও তার স্ত্রী কূহিনুর বেগম।এবিষয়ে তিতাস থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।একজন আসামীকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।১৩বছরের শিশু আহাম্মেদকে ১৮বছরের যুবক দেখানো হয়েছে মামলায় এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সমস্যা নেই আমরা এইটা যাচাই বাছাই করে দেখব।