হাফিজুর রহমান, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পাতাকাটা গ্রামের মোঃআনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৫৮) কে জোরপূর্বক বিষ পান করিয়ে হত্যা করেছেন তার ভাতিজা। এমন অভিযোগ করে বরগুনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মৃত্যু আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের মেয়ে নাসরিন (৪০) স্বামীঃ মোঃ খলিলুর রহমান, গ্রাম পাতাকাটা ৯ নং ওয়ার্ড ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন। মামলাটি দায়ের করেছেন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইংরেজি রোজ বৃহস্পতিবার। মামলা নাম্বার সি আর ২২৩ /২০২৫. মামলার ধারা দন্ডবিধি ৩০২/৩৪.বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এজাহার করার জন্য বরগুনা সদর থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি বরগুনা সদর থানা এজাহার করা হয়েছে।মামলার আসামিরা হলেন ১।মোঃ ছগির হোসেন (৪৫) পিতা মৃত্যু দেলোয়ার হাওলাদার ২।মোঃ কবির হোসেন(৪২) পিতা ঃ মৃত্যু দেলোয়ার হাওলাদার ৩। মোঃ নোমান হোসেন (২০) পিতা ছগির হোসেন ৪। মোঃ বাপ্পি (২২)পিতাঃ মোঃ ছগির হোসেন সর্ব সাং পাতাকাটা, ৯ নং ওয়ার্ড, ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউপি, থানা ও জেলা বরগুনা। এছাড়াও আরো অজ্ঞাতনামা আরো আসামি ছিল।মামলার প্রধান আসামি মোঃ ছগির মিয়া কে অদ্য ১০ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে মহিপুর ট্রলার ঘাটে পটুয়াখালী র্যাব তাকে গ্রেফতার করেন।মামলার তিন ও চার নাম্বার আসামি মোঃ বাপ্পি ও মোঃ নোমান কে ঢাকা গ্রেফতার হয়েছে।মামলার দুই নাম্বার আসামী মোঃ কবির হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়নি। কবিরকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।মামলাটির বাদী নাসরিন সুমা বলেন, আমার বাবাকে হত্যাকারী চারজন আসামীর তিনজন ছগির,বাপ্পি ও নোমান গ্রেপ্তার হয়েছে। আমার প্রত্যাশা খুব শীঘ্রই বাকি আসামি কবিরও গ্রেফতার হবেন।আমি আমার বাবার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের নাসরিন নামের এক ব্যক্তি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন,মামলাটি বরগুনা থানায় এজাহার করা হয়েছে। বরগুনা থানার মামলা নাম্বার ১৬, তাং২৫/২/২০২৫ ইং।ধারা -৩০২/৩৪ পেনাল কোড,এর এজাহার নামীয় ১ নং আসামি মোঃ ছগির হোসেন পিতাঃ মৃত দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার সাং পাতাকাটা, ৯ নং ওয়ার্ড থানা ও জেলা বরগুনা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর ট্রলার ঘাট হইতে গ্রেফতার করা হয়। এবং মামলার অন্য দুই আসামি মোঃ বাপ্পি ও নোমান পিতা মোঃছগির হোসেন কে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আরেকজন আসামিকে গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।