মো : রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার
দেশব্যাপী ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন আজ (শনিবার) এর আওতায় প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।শৈশবকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট এক লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে।আজ বিভিন্ন জেলা উপজেলা নেয় বুড়িচং উপজেলায় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে শিশুদের লাল নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও পরিচালক জনাব ডাক্তার মোহাম্মদ মালেকুল আফতাব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিট করেন তিনি জানান একটি শিশুর যেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল থেকে বাদ না পরে সেদিকে তিনি লক্ষ্য রাখছেন পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো সঠিক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিচ্ছে কিনা তারও তদারকি করছেন তিনি আরো জানান।এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখা হয়েছে।ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা সবটুকু তরল শিশুকে খাওয়াবেন। শিশুদের কান্নার সময় অথবা তাদের জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।