ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চৌদ্দগ্রামে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ইটভাটা বন্ধের হুমকি, থানায় অভিযোগ চান্দিনায় জোর করে ঘর, দেয়াল ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ চৈত্রের বিকেলবেলা কুমিল্লায় স্বস্তির বৃষ্টি কুমিল্লার লাকসামে নানা শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ৫ দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ বরগুনায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ব্যাপক ভাংচুর আমার পরিচয়ে কেউ তদবির-চাঁদাবাজি করলে আইনি ব্যবস্থা নিন : আবু রায়হান কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ২৭ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ চৌদ্দগ্রামের জয়মঙ্গলপুর মধ্যমপাড়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা’র বার্ষিক ইফতার মাহফিল
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

চান্দিনায় জোর করে ঘর, দেয়াল ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সেকান্দির আলি মৃধার ছেলে সালাম মৃধার ঘর ও দেয়াল ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে।ঘর ও দেয়ালের ইটগুলাও খুলে নিয়ে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে অভিযুক্তরা।এতে থানায় মামলা করলেও কোন রকম ন্যায়বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবারটি।গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ভোরবেলায় ফজর নামেজারে পরে দলবদ্ধ হয়ে সালাম মৃধার ঘর ও দেয়াল ভেঙে নিয়ে যায় তারা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণ করা রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশ সালাম মৃধার জায়গায়।যেখানে তার দোকান ও বাড়ির দেয়াল ছিল।দোকান ও দেয়াল ভেঙে ইট ও রড সব নিয়ে গিয়ে সেখানে নিজেদের চলাচলের জন্য জোরপূর্বক রাস্তাব নির্মান করেছে পাশের প্রতিবেশীরা।বাকি ২০ শতাংশ জায়গা অন্য একটি পরিবার থেকে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করছেন অভিযুক্তরা।সালাম মৃধার বাবা মৃত ১৯৮৭ সনে গ্রামের প্রধান সড়ক নির্মানের সময় ৩৬ শতাংশ জমি দান করেছেন।তখন তিনি রাস্তাটি বর্তমান জায়গা দিয়ে করার আবেদন করলেও তারা রাজি হননি।পরবর্তীতে যখন রাস্তা প্রয়োজন হয়ে পড়ে তারা দিন দিন বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে আসছিল।পরে কোন রকম আলোচনা ও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ঘরবাড়ি ও দেয়াল ভেঙে নিয়ে যায়।গত ১৫ বছর আগে সালাম মৃধার ভাই নির্বাচনের সময় রাস্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতির কারনে, ভাইয়ের কথা রক্ষা করতে মাত্র গাছের মুল্য বাবদ চলাচলের জন্য এক হাত রাস্তা দিয়েছইলেন।যেখানে গাছের পুরো মুল্য ও পরিশোধ করেনি অভিযুক্তরা।পরিবর্তীতে গত তিন মাস আগে নিজের জায়গায় দেয়াল নির্মানের সময় সবাইকে বলেছিলেন তোমাদের আর জায়গা লাগিবে কিনা।যদি লাগে তাহলে সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে আমি দিতে রাজু আছি।তখন কারো ভ্রুক্ষেপ ছিল না।পরে প্রায় দেড় মাস সময় নিয়ে দেয়াল নির্মান করলে তখনো কারো বাধা আসেনি।কিন্ত তার কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে এবং ঘর ও দেয়াল ভেঙে রাস্তা দেয়ার জন্য সালাম মৃধার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে অভিযুক্তরা।ঘর ও দেয়াল ভাঙতে অসীকৃতি জানালে হামলার শিকার হয় এবং জোর পূর্বক তার নিজস্ব বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করে নেয়।ভুক্তভোগী সালাম মৃধা বলেন, আমরা পাচ ভাইয়ের মধ্যে সবাই পুরাতন বাড়িতে অবস্থান করছে।আমি এখানে এসে বাড়ি নির্মান করি। ভালই চলছিলাম, কিন্ত আমার ভাই মনির মৃধা নির্বাচনের সময় তাদেরকে কথা দেয়, সে পাশ করলে তাদেরকে এদিক দিয়ে রস্তার ব্যবস্থা করে দিবে। তখন সে আমাকে কিছুই জানায় নাই এবং তারাও আমাকে জানায় নাই। তারপরেও আমি ভাইয়ের অনুরোধে ৫০ হাজার টাকা গাছ কেটে তাদের জন্য এক হাত রাস্তা করে দিছি।যদিও আমার বাবা নিষেধ করে গেছিল।কারন মুল রাস্তাটার পুরো ৩৬ শতক আমাদের জায়গার উপরে পড়ছে।তারপর ১৬ বছর এভাবে চলছে। এর ভিতরে তারা আবার রাস্তা দেওয়ার জন্য আন্দোলন করতেছে কিন্ত আমি দিতেছি না।গত তিন বছর আগে আমি আমার দোকানের পাশে বাউন্ডারি ওয়াল করব, তখন তদেরকে ডাকলাম, আমি তো দেয়াল করতেছি তোমদের কোন দাবি দাওয়া আছে কিনা আমাকে বলো। কিন্ত তারা তখন কেউ আসে নাই আমার কাছে। দেড় মাস সময় নিয়া আমি দেয়াল করছি তখন আমার কাছে কেউ আসলো না,কেউ চাইলো না আমাদেরকে এক হাত জায়গা দেও। তাই আমি দেয়াল টা করে ফেলছি।তিন লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ভিম সহ দেয়াল করলাম তখনো তারা কেউ আমার সাথে আলোচনা করলো না।দেয়াল করার তিন বছর পর, তারা পাশের বাড়ির থেকে ২ হাত জায়গা কিনে নিছে। নেওয়ার পরেই তারা আমার দেয়ালের শুরুর দিকে ১২ ফুট ভেঙে ফেলছে। আমি জিগ্যেস করাতে বলে রাস্তার মোড়ের জন্য নাকি ভেঙে ফেলছে। তাদের জনবল বেশি তাই ভয়ে আমি মেনে নিছি।তার ১৫ দিন পরে তারা এসে আমার কাছে অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চায়। বলে আমরা ভুল করছি, আমাদেরকে একটু পুর্বদিক দিয়া ঘুরার রাস্তা দিয়া দিও।আমি রাজি হইছি।কিন্ত তারা পরে ওয়াল ঠিক করে দেয় নাই।কিছুদিন পর তারা নতুন প্রস্তাব নিয়া আসছে, আমার দেয়াল ভেঙে তাদেরকে এক হাত রাস্তা দেওয়ার জন্য।আমি বললাম, ১ হাত রাস্তা দিয়া রাখছি ১৬ বছর হয়, এখন আবার দেয়াল ভেঙে রাস্তা দিব, এটা কি মানা যায় নাকি।তারপর আমি এসি ল্যান্ড অফিসে একটা মামলা করি। যদিও এর তদন্ত রিপোর্ট এখনো পাই নাই। তারপর আমি একটু আইনগত ব্যবস্থা নেই।তারপর থেকে তারা আমাকে নানা হুমকি ধমকি দিতে থাকে।গত ২৮ তারিখ ফজর নামাজ পড়তে উঠে দেখি সবাই মিলে আমার বাড়ির দেয়াল ভাঙা শুরু করছে।পুরো দেয়াল ও আমার গুদাম ঘর ভেঙে ইট, রড সব নিয়া গেছে।আমার সাথে তাদের কোন শত্রুতা নাই। কোন মারামারিও নাই।আমার ভাই জায়গা দিনে কথা দিয়া এই আগুনডা লাগাইছে।তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।যেভাবে সমাধান করলে সুন্দর সমাধান হবে আমি সেই সমাধান ই চাই।বিবাদি পক্ষের জয়নাল কাজী বলেন, এই রাস্তাটা আমাদের খুব দরকার।এই একটু জায়গার জন্য তিন কিলোমিটার রাস্তার ১৫০ টি পরিবারের যাতায়াত বন্ধ হয়ে আছে।শুধু একটু মুখ টা খুলে দিলে আমরা পুরো রাস্তাটা ব্যবহার করতে পারি।কিন্ত তারা রাস্তাটা বন্ধ করে দেয়। তখন আমাদের প্রয়োজনে আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনায় বসি।সেই সময়ে তাদের থেকে দুই হাত জায়গার বিনিময়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে থাকি।তখন কিছু গাছ কাইটা আমাদের হাটার জায়গা দেয়। আমরা দুই এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনায় বসি ।সে কারো কথাই রাখবে না বলে জানাই দেয়।তখন আমরা বাধ্য হয়ে জোর করে দেয়াল ভেঙে রাস্তা বানাই।চান্দিনা থানার এ এসআই সাহাদাত হোসেন বলেন, আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর আমি দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি।দুই পক্ষকে ধৈর্য ধরার জন্য বলেছি ।এ বিষয়ে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, এই বিষয় গুলো এস আই শাহাদাত হোসেন দেখছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রামে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ইটভাটা বন্ধের হুমকি, থানায় অভিযোগ

চান্দিনায় জোর করে ঘর, দেয়াল ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সেকান্দির আলি মৃধার ছেলে সালাম মৃধার ঘর ও দেয়াল ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে।ঘর ও দেয়ালের ইটগুলাও খুলে নিয়ে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে অভিযুক্তরা।এতে থানায় মামলা করলেও কোন রকম ন্যায়বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবারটি।গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ভোরবেলায় ফজর নামেজারে পরে দলবদ্ধ হয়ে সালাম মৃধার ঘর ও দেয়াল ভেঙে নিয়ে যায় তারা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণ করা রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশ সালাম মৃধার জায়গায়।যেখানে তার দোকান ও বাড়ির দেয়াল ছিল।দোকান ও দেয়াল ভেঙে ইট ও রড সব নিয়ে গিয়ে সেখানে নিজেদের চলাচলের জন্য জোরপূর্বক রাস্তাব নির্মান করেছে পাশের প্রতিবেশীরা।বাকি ২০ শতাংশ জায়গা অন্য একটি পরিবার থেকে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করছেন অভিযুক্তরা।সালাম মৃধার বাবা মৃত ১৯৮৭ সনে গ্রামের প্রধান সড়ক নির্মানের সময় ৩৬ শতাংশ জমি দান করেছেন।তখন তিনি রাস্তাটি বর্তমান জায়গা দিয়ে করার আবেদন করলেও তারা রাজি হননি।পরবর্তীতে যখন রাস্তা প্রয়োজন হয়ে পড়ে তারা দিন দিন বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে আসছিল।পরে কোন রকম আলোচনা ও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ঘরবাড়ি ও দেয়াল ভেঙে নিয়ে যায়।গত ১৫ বছর আগে সালাম মৃধার ভাই নির্বাচনের সময় রাস্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতির কারনে, ভাইয়ের কথা রক্ষা করতে মাত্র গাছের মুল্য বাবদ চলাচলের জন্য এক হাত রাস্তা দিয়েছইলেন।যেখানে গাছের পুরো মুল্য ও পরিশোধ করেনি অভিযুক্তরা।পরিবর্তীতে গত তিন মাস আগে নিজের জায়গায় দেয়াল নির্মানের সময় সবাইকে বলেছিলেন তোমাদের আর জায়গা লাগিবে কিনা।যদি লাগে তাহলে সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে আমি দিতে রাজু আছি।তখন কারো ভ্রুক্ষেপ ছিল না।পরে প্রায় দেড় মাস সময় নিয়ে দেয়াল নির্মান করলে তখনো কারো বাধা আসেনি।কিন্ত তার কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে এবং ঘর ও দেয়াল ভেঙে রাস্তা দেয়ার জন্য সালাম মৃধার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে অভিযুক্তরা।ঘর ও দেয়াল ভাঙতে অসীকৃতি জানালে হামলার শিকার হয় এবং জোর পূর্বক তার নিজস্ব বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করে নেয়।ভুক্তভোগী সালাম মৃধা বলেন, আমরা পাচ ভাইয়ের মধ্যে সবাই পুরাতন বাড়িতে অবস্থান করছে।আমি এখানে এসে বাড়ি নির্মান করি। ভালই চলছিলাম, কিন্ত আমার ভাই মনির মৃধা নির্বাচনের সময় তাদেরকে কথা দেয়, সে পাশ করলে তাদেরকে এদিক দিয়ে রস্তার ব্যবস্থা করে দিবে। তখন সে আমাকে কিছুই জানায় নাই এবং তারাও আমাকে জানায় নাই। তারপরেও আমি ভাইয়ের অনুরোধে ৫০ হাজার টাকা গাছ কেটে তাদের জন্য এক হাত রাস্তা করে দিছি।যদিও আমার বাবা নিষেধ করে গেছিল।কারন মুল রাস্তাটার পুরো ৩৬ শতক আমাদের জায়গার উপরে পড়ছে।তারপর ১৬ বছর এভাবে চলছে। এর ভিতরে তারা আবার রাস্তা দেওয়ার জন্য আন্দোলন করতেছে কিন্ত আমি দিতেছি না।গত তিন বছর আগে আমি আমার দোকানের পাশে বাউন্ডারি ওয়াল করব, তখন তদেরকে ডাকলাম, আমি তো দেয়াল করতেছি তোমদের কোন দাবি দাওয়া আছে কিনা আমাকে বলো। কিন্ত তারা তখন কেউ আসে নাই আমার কাছে। দেড় মাস সময় নিয়া আমি দেয়াল করছি তখন আমার কাছে কেউ আসলো না,কেউ চাইলো না আমাদেরকে এক হাত জায়গা দেও। তাই আমি দেয়াল টা করে ফেলছি।তিন লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ভিম সহ দেয়াল করলাম তখনো তারা কেউ আমার সাথে আলোচনা করলো না।দেয়াল করার তিন বছর পর, তারা পাশের বাড়ির থেকে ২ হাত জায়গা কিনে নিছে। নেওয়ার পরেই তারা আমার দেয়ালের শুরুর দিকে ১২ ফুট ভেঙে ফেলছে। আমি জিগ্যেস করাতে বলে রাস্তার মোড়ের জন্য নাকি ভেঙে ফেলছে। তাদের জনবল বেশি তাই ভয়ে আমি মেনে নিছি।তার ১৫ দিন পরে তারা এসে আমার কাছে অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চায়। বলে আমরা ভুল করছি, আমাদেরকে একটু পুর্বদিক দিয়া ঘুরার রাস্তা দিয়া দিও।আমি রাজি হইছি।কিন্ত তারা পরে ওয়াল ঠিক করে দেয় নাই।কিছুদিন পর তারা নতুন প্রস্তাব নিয়া আসছে, আমার দেয়াল ভেঙে তাদেরকে এক হাত রাস্তা দেওয়ার জন্য।আমি বললাম, ১ হাত রাস্তা দিয়া রাখছি ১৬ বছর হয়, এখন আবার দেয়াল ভেঙে রাস্তা দিব, এটা কি মানা যায় নাকি।তারপর আমি এসি ল্যান্ড অফিসে একটা মামলা করি। যদিও এর তদন্ত রিপোর্ট এখনো পাই নাই। তারপর আমি একটু আইনগত ব্যবস্থা নেই।তারপর থেকে তারা আমাকে নানা হুমকি ধমকি দিতে থাকে।গত ২৮ তারিখ ফজর নামাজ পড়তে উঠে দেখি সবাই মিলে আমার বাড়ির দেয়াল ভাঙা শুরু করছে।পুরো দেয়াল ও আমার গুদাম ঘর ভেঙে ইট, রড সব নিয়া গেছে।আমার সাথে তাদের কোন শত্রুতা নাই। কোন মারামারিও নাই।আমার ভাই জায়গা দিনে কথা দিয়া এই আগুনডা লাগাইছে।তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।যেভাবে সমাধান করলে সুন্দর সমাধান হবে আমি সেই সমাধান ই চাই।বিবাদি পক্ষের জয়নাল কাজী বলেন, এই রাস্তাটা আমাদের খুব দরকার।এই একটু জায়গার জন্য তিন কিলোমিটার রাস্তার ১৫০ টি পরিবারের যাতায়াত বন্ধ হয়ে আছে।শুধু একটু মুখ টা খুলে দিলে আমরা পুরো রাস্তাটা ব্যবহার করতে পারি।কিন্ত তারা রাস্তাটা বন্ধ করে দেয়। তখন আমাদের প্রয়োজনে আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনায় বসি।সেই সময়ে তাদের থেকে দুই হাত জায়গার বিনিময়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে থাকি।তখন কিছু গাছ কাইটা আমাদের হাটার জায়গা দেয়। আমরা দুই এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনায় বসি ।সে কারো কথাই রাখবে না বলে জানাই দেয়।তখন আমরা বাধ্য হয়ে জোর করে দেয়াল ভেঙে রাস্তা বানাই।চান্দিনা থানার এ এসআই সাহাদাত হোসেন বলেন, আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর আমি দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি।দুই পক্ষকে ধৈর্য ধরার জন্য বলেছি ।এ বিষয়ে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, এই বিষয় গুলো এস আই শাহাদাত হোসেন দেখছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।