
ফজলুল হক জয়, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মাসুদ ছিলেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন।অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন অভিযোগ।এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য মতে,দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব পদে স্থান পেয়েছেন কাজী মাসুদ হাসান।যার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততার বিস্তর অভিযোগ মিলেছে।জানা যায়,কাজী মাসুদ ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা করেন।এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রাজি ফখরুলের সমর্থিত বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন ও বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন।চাউর রয়েছে এই দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করে আওয়ামী লীগ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, “গত ১৫ বছর আমরা যারা দলের জন্য কাজ করেছি,জেল খেটেছি,ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে নিঃস্ব হয়েছি আমাদেরকে এখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।উল্টো আমরা নির্দিষ্ট একজন (ভাইয়ের) ব্যক্তির অনুসারী নয় বলে আমাদেরকে কমিটিতে রাখা হচ্ছে না।বরং যারা সুযোগসন্ধানী,সুবিধাবাদী যারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে,যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধা নিয়েছে তাদেরকে এখন বিএনপি’র বিভিন্ন কমিটির স্থান দেওয়া হচ্ছে।হতাশা ব্যক্ত করে এসব তৃণমূল পর্যায়ের কর্মি ও সমর্থকগণ বলেন,এভাবে চলতে থাকলে দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি হুমকির মুখে পড়বে।তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান।এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার মুঠোফোনের মাধ্যমে জানান,আমার জানামতে কাজী মাসুদ বিএনপি’র কর্মী।যদি ঘটনা সত্য হয়ে থাকে তাহলে এমন একটি ভাইটাল পজিশনে আওয়ামী লীগের কর্মীকে স্থান দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।অনতিবিলম্বে আমরা এর সত্যতা যাচাইপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব বলেও জানান তিনি।বিএনপির জাতিয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন,ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।