ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে, যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না : বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বাঁচার জন্য লড়াই করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াছিন  কুবিতে অপ্রীতিকর অবস্থায় স্কুল পড়ুয়া দুই যুগল আটক খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন কুমিল্লার আমিন উর রশিদ ইয়াছিন জামায়াতে ইসলামী যুব ও ক্রীড়া বিভাগ কুমিল্লা মহানগরীর ৬নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

পবিত্র শবেমেরাজ আজ

  • ইসলাম ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

ইসলাম ডেস্ক:

আজ সোমবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। নবুয়তের ১১তম বছর এই রাতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে ডেকে নেন। আর এর মাধ্যমে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে সমগ্র সৃষ্টির ওপর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেন। কেননা সৃষ্টিজগতে কেবল তিনিই মহান আল্লাহর একান্ত সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেছেন। মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তাঁর উম্মতের জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনেন। মহাজাগতিক এই সফর নবী (সা.)-এর নবুয়তের সপক্ষে অলৌকিক প্রমাণ এবং মুসলিম জাতির জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণাও বটে। সুফি সাধক আলেমরা শবেমেরাজকে প্রেম ও ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন বলে থাকেন। কেননা নবুয়ত লাভের ১১তম বছর মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ বছর তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। অন্যদিকে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকে আহত ও আশাহত হয়ে ফেরেন। এমন ব্যথাতুর সময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে সান্নিধ্য দানের মাধ্যমে প্রশান্তির চাদরে আবৃত করেন। শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার অন্যতম উপলক্ষ। তাই মুসলমানরা প্রতিবছর ২৬ রজব দিবাগত রাতে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে মেরাজের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করেন। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও শবেমেরাজে ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এই রাতের জন্য নির্ধারিত কোনো আমল নেই, তবু মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইবাদত-বন্দেগি ও জিকিরের মজলিসে শামিল হন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে, যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না : বরকত উল্লাহ বুলু

পবিত্র শবেমেরাজ আজ

আপডেট সময় ০৪:২১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

 

ইসলাম ডেস্ক:

আজ সোমবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। নবুয়তের ১১তম বছর এই রাতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে ডেকে নেন। আর এর মাধ্যমে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে সমগ্র সৃষ্টির ওপর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেন। কেননা সৃষ্টিজগতে কেবল তিনিই মহান আল্লাহর একান্ত সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেছেন। মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তাঁর উম্মতের জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনেন। মহাজাগতিক এই সফর নবী (সা.)-এর নবুয়তের সপক্ষে অলৌকিক প্রমাণ এবং মুসলিম জাতির জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণাও বটে। সুফি সাধক আলেমরা শবেমেরাজকে প্রেম ও ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন বলে থাকেন। কেননা নবুয়ত লাভের ১১তম বছর মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ বছর তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। অন্যদিকে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকে আহত ও আশাহত হয়ে ফেরেন। এমন ব্যথাতুর সময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে সান্নিধ্য দানের মাধ্যমে প্রশান্তির চাদরে আবৃত করেন। শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার অন্যতম উপলক্ষ। তাই মুসলমানরা প্রতিবছর ২৬ রজব দিবাগত রাতে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে মেরাজের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করেন। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও শবেমেরাজে ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এই রাতের জন্য নির্ধারিত কোনো আমল নেই, তবু মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইবাদত-বন্দেগি ও জিকিরের মজলিসে শামিল হন।