
জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, স্টাফ রিপোর্টার
আগামী ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন, ২০২৫।এ উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের অবহিতকরণে সেমিনার এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অতিন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সেমিনারেরে মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আলী নূর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ জানান, এবছর কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং স্বতন্ত্র ভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ করে এমন একটি পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস টিকা খাওয়ানো হবে।জেলার ১৯৬ টি ইউনিয়নের ৫৮৮ ওয়ার্ড সর্বমোট ৫ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১১ হাজার ৯শ ৯১ জন শিশুর এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯লাখ ৬২ হাজার ৯শ ৪২ জন শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো হবে। আর একাজে নিয়োজিত থাকবে ১০ হাজার ৭৮ জন স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠ কর্মী ।এদিকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন উপলক্ষে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনেও পৃথক আরেকটি সাংবাদিক সম্মেলন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যুগ্ম-সচিব মোঃ ছামছুল আলম জানান, শনিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে শনিবার (১৫ মার্চ) ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে ৫৫ হাজার ১৯১ জনকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ জন সুপারভাইজার দায়িত্বরত থাকবেন। চলবে শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম বলেন, “জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যা শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শতভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের আওতায় আনা।এজন্য অভিভাবকদের সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে শিশুদের অপুষ্টি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো।”এসময়, সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (সচিব) মোহাম্মদ মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূইঁয়া, মেডিকেল অফিসার ডা. চন্দনা রাণী দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. জহিরুল ইসলামসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।