
দীনেশ দেবনাথ, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হলো শ্রীশ্রী রাধাগিরিধারীর শুভ দোলযাত্রা ও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৯তম শুভ আবির্ভাব তিথি।শুক্রবার (১৪ই মার্চ) রাম নারায়ণ বিহানী কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির কমিটির আয়োজনে দিনব্যাপী এ উৎসব পালিত হয়। উল্লেখযোগ্য দুপুর ২টায় শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ বেলা ৩টা থেকে হরিনাম সংকীর্তন,বিকাল ৪টা থেকে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনি আলোচনা,গোধূলি লগ্নে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভূর মহা অভিষেক। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় তুলশি আরতি কীর্তন,গৌর আরতি ও নৃসিংহ আরতি কীর্তন এরপর আগত ভক্তবৃন্দের মাঝে মহা প্রসাদ বিতরণ। আয়োজক কমিটির সদস্য জানান,ফাল্গুনের পূর্ণিমায় বাংলা জুড়ে দোলযাত্রার উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষ। সকালে আবির দেবতাকে অর্পণ করে,তারপর বাড়ির গুরুজন থেকে শুরু করে সকলেই মিলে আবির খেলায় মেতে ওঠেন।বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার থেকেই পড়ছে দোলপূর্ণিমার তিথি। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ৩০শে ফাল্গুন শুক্রবার পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে। একজন ভক্ত জানান,শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (১৪৮৬ খ্রিঃ-১৫৩৩ খ্রিঃ) ছিলেন ভারতবর্ষে আবির্ভূত এক বহু লোকপ্রিয় বৈষ্ণব সন্ন্যাসী ও ধর্মগুরু মহাপুরুষ এবং ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক। তিনি গৌড়বঙ্গের নদিয়া অন্তর্গত নবদ্বীপে (অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলা) হিন্দু ব্রাহ্মণ পণ্ডিত শ্রীজগন্নাথমিশ্র ও শ্রীমতী শচীদেবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁকে শ্রীরাধাকৃষ্ণের যুুুগল প্রেমাবতার বলা হয়। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ছিলেন শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় উল্লিখিত দর্শনের ভিত্তিতে ভক্তিযোগ ভাগবত দর্শনের বিশিষ্ট প্রবক্তা ও প্রচারক।তিনি বিশেষত পরম সত্ত্বা রাধা ও কৃষ্ণের উপাসনা প্রচার করেন। জাতিবর্ণ নির্বিশেষে ব্রাহ্মণ থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পর্যন্ত শ্রীহরি নাম, ভক্তি ও হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র বিতরণ করেন যা শ্রীকলিসন্তরন উপনিষদে ও শ্রীপদ্মপুরাণের হরপার্বতী সংবাদে উল্লেখিত রয়েছে। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রকে এই কলিযুগে জড়জগৎ থেকে মুক্তি পেয়ে পারমার্থিক ধামে যাবার একমাত্র পন্থা হিসেবে গন্য করা হয় বলে তিনি জানান। এদিকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় কুমিল্লা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু চন্দন রায় ও সাধারণ সম্পাদক টি কে বক্সি এ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।