ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আক্তারুজ্জামান রিপনের শেষ জনসভায় গণমানুষের ঢল, আমি দিতে এসেছি, কিছু নিতে আসিনি : ইঞ্জি: রিপন চৌদ্দগ্রামে ৬০ কেজি গাঁজা সহ কাভার্ডভ্যান জব্দ চৌদ্দগ্রামের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান বুড়িচং জরুইনে ঘোড়া প্রতিকের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত বরুড়ায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ মনোয়ার হোসেন: ২১ তারিখ ভোট দিয়ে সকল প্রকার অপশাসনের জবাব দিবেন : ইঞ্জিঃ আক্তারুজ্জামান রিপন  কুমিল্লায় নারীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড  চৌদ্দগ্রামে ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক যাদের বাড়ি এই এলাকায় নয়, দয়া করে তাদের আপনারা ভোট দিবেন না : ইঞ্জি: আক্তারুজ্জামান রিপন 
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com
মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম

১৮ দিন সাগরে ভেসে থাকার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন জেলেরা

  • আলা উদ্দিন
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আক্তারুজ্জামান রিপনের শেষ জনসভায় গণমানুষের ঢল, আমি দিতে এসেছি, কিছু নিতে আসিনি : ইঞ্জি: রিপন

মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম

১৮ দিন সাগরে ভেসে থাকার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন জেলেরা

আপডেট সময় ১০:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।