ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চৌদ্দগ্রামে ৬০ কেজি গাঁজা সহ কাভার্ডভ্যান জব্দ চৌদ্দগ্রামের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান বুড়িচং জরুইনে ঘোড়া প্রতিকের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত বরুড়ায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ মনোয়ার হোসেন: ২১ তারিখ ভোট দিয়ে সকল প্রকার অপশাসনের জবাব দিবেন : ইঞ্জিঃ আক্তারুজ্জামান রিপন  কুমিল্লায় নারীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড  চৌদ্দগ্রামে ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক যাদের বাড়ি এই এলাকায় নয়, দয়া করে তাদের আপনারা ভোট দিবেন না : ইঞ্জি: আক্তারুজ্জামান রিপন  যারা গত ১৫ বছরে এক কিলোমিটার রাস্তা বানাতে পারেনি, তারা কিভাবে ভোট চাইতে আসে : ইঞ্জি: রিপন
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আজই সিভি পাঠিয়ে দিন ইমেইল : cumillabulletin@gmail.com

মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী

  • এন.সি জুয়েল
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে
এন.সি জুয়েল, কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় ব্যস্ততম এলাকা গুলোতে শব্দের মাত্রা দ্বিগুণ। এসব এলাকায় মানুষজন প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে।  বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এর দ্বিগুণ শব্দ সহ্য করতে হচ্ছে এই এলাকাগুলোতে। পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার এক জরিপে দেখা গেছে, কান্দিরপাড়ে গড় শব্দের মাত্রা ৮২.১ ডেসিবল, পুলিশ লাইনে ৭৯.৩ ডেসিবল, শাসনগাছায় ৯২.২ ডেসিবল, টমছমব্রীজ এলাকায় ৮০.৮ ডেসিবল এবং জাঙ্গালিয়ায় ৭৮.৭ ডেসিবল। কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।দিবস উপলক্ষে  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা নগরীর নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হয়ে  বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে র‍্যালি সমাপ্তি হয়। এর আগে দিনটি উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এই উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে কুমিল্লা সদর সার্কেল কামরান হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল আলম।আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন রাজিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন ধরণের দূষণ বেশী হয়। সেগুলো হলো, পানি, বায়ু ও শব্দ। শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগসহ আরো অনেক রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। এতে শিশুর মেধা বিকাশেও বাধা দেয়। তাই আমারা শব্দ দূষণ রোধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের পাশাপাশি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী!
এসময়, আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘শব্দ দুষণ মানব দেহে মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দ মানব দেহের কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিস্কে প্রবেশ করে। ফলে মানুষ বিশেষ করে শিশুরা বধির হয়ে পড়ে। যানবাহনের হর্ণ শব্দ দূষণের একটি অন্যতম মাধ্যম। তাই, বিআরটিএ’র উচিৎ একটা গাড়ি যখন লাইসেন্স নিতে আসবে তখন সেটা কোন হর্ণ ব্যবহার করছে সেটা দেখে লাইসেন্স দেওয়া। এছাড়াও, শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামন্দা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া। জনস্বাস্থ্য ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর শব্দের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সকলকে সচেতন হতে হবে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাহমিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল সহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চৌদ্দগ্রামে ৬০ কেজি গাঁজা সহ কাভার্ডভ্যান জব্দ

মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
এন.সি জুয়েল, কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় ব্যস্ততম এলাকা গুলোতে শব্দের মাত্রা দ্বিগুণ। এসব এলাকায় মানুষজন প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে।  বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এর দ্বিগুণ শব্দ সহ্য করতে হচ্ছে এই এলাকাগুলোতে। পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার এক জরিপে দেখা গেছে, কান্দিরপাড়ে গড় শব্দের মাত্রা ৮২.১ ডেসিবল, পুলিশ লাইনে ৭৯.৩ ডেসিবল, শাসনগাছায় ৯২.২ ডেসিবল, টমছমব্রীজ এলাকায় ৮০.৮ ডেসিবল এবং জাঙ্গালিয়ায় ৭৮.৭ ডেসিবল। কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।দিবস উপলক্ষে  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা নগরীর নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হয়ে  বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে র‍্যালি সমাপ্তি হয়। এর আগে দিনটি উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এই উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে কুমিল্লা সদর সার্কেল কামরান হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল আলম।আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন রাজিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন ধরণের দূষণ বেশী হয়। সেগুলো হলো, পানি, বায়ু ও শব্দ। শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগসহ আরো অনেক রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। এতে শিশুর মেধা বিকাশেও বাধা দেয়। তাই আমারা শব্দ দূষণ রোধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের পাশাপাশি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী!
এসময়, আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘শব্দ দুষণ মানব দেহে মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দ মানব দেহের কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিস্কে প্রবেশ করে। ফলে মানুষ বিশেষ করে শিশুরা বধির হয়ে পড়ে। যানবাহনের হর্ণ শব্দ দূষণের একটি অন্যতম মাধ্যম। তাই, বিআরটিএ’র উচিৎ একটা গাড়ি যখন লাইসেন্স নিতে আসবে তখন সেটা কোন হর্ণ ব্যবহার করছে সেটা দেখে লাইসেন্স দেওয়া। এছাড়াও, শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামন্দা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া। জনস্বাস্থ্য ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর শব্দের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সকলকে সচেতন হতে হবে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাহমিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল সহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।